‘কথামতো ভোট না দেওয়ায়’ বাঁশখালীতে ভোটারের বাড়িতে হামলা

স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ইউপি নির্বাচনে 'কথামতো ভোট না দেওয়ায়' ভোটারের বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠেছে। কালিপুর ইউনিয়নের জঙ্গল গুনাগরী এলাকার বাসিন্দা নারায়ণ নাথ এ অভিযোগ করেছেন। নারায়ণ নাথের অভিযোগ, 'দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দলবদ্ধ হয়ে আমার বাড়িতে হামলা করা হয়।'

আজ শুক্রবার সকালে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে। তবে পুলিশ বলছে, জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে।

বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল উদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বাঁশখালী জজ আদালতে চলতি বছর উভয় পক্ষের দ্বন্দ্বে মামলা হয়েছে।'

এ ঘটনায় নাথপাড়ার বাসিন্দারা আজ বিকেলে উপজেলা সদরে মানববন্ধন করেছেন। এসময় তারা প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা দাবি জানান।

এলাকাবাসী জানান, নারায়ণ নাথ মোটরসাইকেল মেরামতের কাজ করেন। তার বড় ভাই সুবল নাথ রিকশাচালক। তারা পাশাপাশি ঘরে বসবাস করেন। গত বুধবার অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. শাহদাত আলম ৪১৭ ভোটে একই দলের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. নোমানকে পরাজিত করেন। ভোটে তৃতীয় হন বিএনপি নেতা আমিনুর রহমান চৌধুরী।

নারায়ণ নাথ বলেন, 'তাদের কথামতো ভোট না দেওয়ায় পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকরা আমাদের ঘরবাড়ি ভাঙচুর করেছেন।'

তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, '১৫-১৬ জন যুবক ধারালো অস্ত্র নিয়ে সকাল ১০টার দিকে আমাদের ঘরের সামনে এসে দাঁড়ায়। এ সময় বৃষ্টি পড়ছিল। তখন তারা বাইরে থেকে ঘরের দরজায় তালা দিয়ে চিৎকার করে বলছিল, কেউ ঘর থেকে বের হলে মেরে ফেলব। এরপর ঘর ভাঙা শুরু করে।'

তিনি আরও বলেন, 'দুর্বৃত্তদের বেশ কয়েকজনকে আমি চিনি। তারা পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর অনুসারী।'

এদিকে, বসতঘর ভাঙার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যশ ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। নারায়ণ নাথ অন্য একটি ঘর থেকে এই ভিডিও ধারণ করেন। ভিডিওর শেষ দিকে তার দিকে একজনকে তেড়ে যেতে দেখা যায়। পরে ভিডিওটি বন্ধ হয়ে যায়।

জানতে চাইলে বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামাল উদ্দিন বলেন, 'চলাচলের পথ নিয়ে পাশের এক ব্যক্তির সঙ্গে নারায়ণ নাথদের বিরোধ চলে আসছিল। ওই পথেই এই টিনের ঘরটি ছিল বলে অপরপক্ষের অভিযোগ। আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, এ কারণে ওই পক্ষের ভাড়াটে লোকজন এসে ঘরটি ভেঙে দেন। এটি নির্বাচন-সংক্রান্ত কোনো বিষয় নয়। যারা ঘর ভেঙেছেন, ভিডিও দেখে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।'

এ বিষয়ে জানতে আ. লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. নোমানের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

Comments

The Daily Star  | English

All 3 major parties backed Yunus' leadership: press secretary

Expressed support for a free, fair, and peaceful election under his administration, says Shafiqul Alam

15m ago