মিশরে ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিশুদের নিয়ে ঈদ উদযাপন করল বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা

কায়রোতে অবস্থানরত ফিলিস্তিনি শিশুদের সঙ্গে বাংলাদেশ-ফিলিস্তিন মৈত্রী সংস্থার স্বেচ্ছাসেবী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা। ছবি: সংগৃহীত

মিশরে আশ্রয় নেওয়া ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিশুদের নিয়ে ঈদ উদযাপন করেছেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা। 

ঈদুল ফিতরের দ্বিতীয় দিন মিশরের রাজধানী কায়রোর হাদিকাতুদ দাওলিয়ায় (আন্তর্জাতিক উদ্যান) বাংলাদেশ-ফিলিস্তিন মৈত্রী সংস্থার স্বেচ্ছাসেবী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা মিশরে অবস্থানরত ফিলিস্তিনি শরণার্থী পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

গাজা থেকে কায়রোতে আশ্রয় নেওয়া ২৫ শরণার্থী পরিবার, শিশু-কিশোর ও মিশরে অধ্যয়নরত অর্ধশত ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা করে সময় কাটান। 

পরে ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীদের আর্থিক ঈদ সম্মানী, শরণার্থী পরিবারগুলোকে আর্থিক সহায়তা ও শিশুদের ঈদ সালামি দেওয়া হয় এবং তাদের পছন্দের ঈদের খাবার ও পানীয় দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।‌

কায়রোতে অবস্থানরত ফিলিস্তিনি শিশুদের সঙ্গে বাংলাদেশ-ফিলিস্তিন মৈত্রী সংস্থার স্বেচ্ছাসেবী বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ফিলিস্তিন মৈত্রী সংস্থার সভাপতি বাংলাদেশি শিক্ষার্থী মাওলানা আব্দুল আজিজ তরফদার বলেন, 'ফেনীর ফুলগাজী থানার মুন্সিরহাট ইউনিয়নের দরবার বারপুর গ্রামের হালিমা নূরের পরিবারের সহায়তায় অসহায় ফিলিস্তিনিদের নিয়ে এই ঈদ‌ আনন্দ উদযাপন করা হয়েছে। আমরা চেষ্টা করেছি অসহায় পরিবারগুলোকে আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে চেষ্টা করেছি কিছুটা হলেও তাদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে।'

এক প্রশ্নের জবাবে ফিলিস্তিনি শরণার্থী হাইসাম নাজ্জার বলেন, 'আমি পরিবার‌ নিয়ে‌ গাজার খান ইউনূস এলাকা থেকে কায়রো এসেছি। কিন্তু সেখানে আমার আত্মীয়-স্বজন রয়ে গেছে। সেখানে আমার মা, বাবা ও ছোটভাই আছেন। বর্তমান পরিস্থিতি বড় কঠিন। বেশ বড় অংকের অর্থ লাগবে তাদের এখানে আনতে। গাজায় আমাদের সবকিছু বিলীন হয়ে গিয়েছে।'

ঈদ উদযাপন অনুষ্ঠানে আসা আরেক শরণার্থী বলেন, 'বাংলাদেশ-ফিলিস্তিন মৈত্রী সংস্থা আমাদের নিয়ে চমৎকার একটি ঈদ আনন্দ আয়োজন উপহার দিয়েছে। যারা আমাদের এই দুঃসময়ে ঈদ আনন্দ দিয়েছেন আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।'

Comments

The Daily Star  | English
Local gold price hiked

Gold hits all-time high

From tomorrow, each bhori of 22-carat gold will cost Tk 181,487

53m ago