কারখানার ছাদে সোলার, কমছে কার্বন নিঃসরণ

বিশ্বের জ্বালানিখাতে এক নতুন মোড় ঘুরতে যাচ্ছে—পরিবেশগত প্রয়োজন, অর্থনৈতিক সুযোগ ও ভূরাজনীতি বাধ্য করছে নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে ঝুঁকতে। রপ্তানিনির্ভর ও জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ অর্থনীতির দেশ বাংলাদেশে এ ধরনের ঝুঁকি আরও বেশি।
শিল্পখাতও এগোচ্ছে। তারা ধীরে ধীরে ছাদকে রূপান্তর করছে ক্ষুদ্র বিদ্যুৎকেন্দ্রে। দুই বছর আগেও যারা দ্বিধায় ছিল, তারাই এখন স্বতঃস্ফূর্তভাবে কারখানার ছাদে বিশাল সোলার প্যানেল বসাচ্ছে।
এ প্রবণতা এখন রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল, ওষুধশিল্প কমপ্লেক্স ও পোশাক কারখানার ক্লাস্টারগুলোতে দেখা যাচ্ছে। কোরিয়ান প্রতিষ্ঠান ইয়ংওয়ান করপোরেশন কারখানার ছাদে সোলার প্যানেল বসানোর ক্ষেত্রে প্রথম দিকের উদ্যোগীদের একটি। ২০২১ সালে তারা চট্টগ্রামের কোরিয়ান রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ছাদ সোলার প্ল্যান্ট নির্মাণ করে।
প্রকল্পটি শুরু হয়েছিল ১৬ মেগাওয়াট-পিক (এমডব্লিউপি) দিয়ে এবং বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৭ এমডব্লিউপিতে—যা দৈনিক ১২০ থেকে ১৪০ মেগাওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। এক এমডব্লিউপি সৌরশক্তি দিনে প্রায় ৩০০-৪০০ পরিবারের বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম।
জোনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শাহজাহান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সৌরশক্তি আমাদের জ্বালানির বড় অংশের চাহিদা পূরণ করছে। আমাদের এখন লক্ষ্য হলো, দ্রুততম সময়ে এই সক্ষমতা ৫০ এমডব্লিউপি পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া।'
তার হিসাব অনুযায়ী, প্রকল্পটি ইতোমধ্যেই ৯৫ হাজার ৭৬০ টন কার্বন-ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ কমিয়েছে।
দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ওষুধ কোম্পানি রেনেটা পিএলসি ৫.৬ এমডব্লিউপি স্থাপন করেছে, যা প্রতি বছর ৩৫ লাখ কিলোগ্রাম কার্বন নিঃসরণ কমাচ্ছে এবং তাদের মোট বিদ্যুৎ চাহিদার ১০ শতাংশ পূরণ করছে।
কোম্পানির প্রকল্প ব্যবস্থাপনা বিভাগের মহাব্যবস্থাপক রাজীব হাসান বলেন, 'আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য হলো কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে পরিবেশ রক্ষা করা।'
তিনি বলেন, 'এ ছাড়া সৌরশক্তি আমাদের জ্বালানি নির্ভরতা বাড়ায়, লোডশেডিংয়ের ঝুঁকি কমায় এবং সোলারের ২০ বছরের জীবনচক্রে এটা অর্থনৈতিকভাবেও লাভজনক।'
রাজীবের মতে, রেনেটা তাদের সক্ষমতা বাড়িয়ে ৬.৬ এমডব্লিউপি করার পরিকল্পনা করছে।
বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ বহুমুখী শিল্পগোষ্ঠী হা-মীম গ্রুপ তাদের কারখানায় ১২.২ এমডব্লিউপি সৌরশক্তি স্থাপন করেছে, যা প্রায় ৬ শতাংশ কার্বন নিঃসরণ কমিয়েছে।
গ্রুপটির জ্বালানি বিভাগের প্রধান তানুল চক্রবর্তী বলেন, 'আমরা বৈশ্বিক স্থায়িত্ব ফোরাম ও ক্রেতাদের কমপ্লায়েন্স প্রয়োজনীয়তায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।'
হা-মীম ২০৫০ সালের মধ্যে শূন্য কার্বন নিঃসরণে পৌঁছানোর প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে। এর জন্য প্রয়োজন হবে আরও ৩০০ এমডব্লিউপি। তারা মৌলভীবাজারে বৃহৎ একটি সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা করছে।
এ বছর তারা গাজীপুরের কালীগঞ্জ শিল্প পার্কে ৪.৪ এমডব্লিউপি সিস্টেম যুক্ত করেছে এবং ২০২৬ সালের মাঝামাঝি আরও ১৫ এমডব্লিউপি করার পরিকল্পনা রয়েছে। তানুল বলেন, 'যদি কোনো কারখানার ছাদ খালি থাকে, বিশেষত শেড ভবনগুলোর, তাহলে কোনো ধরনের দ্বিধা না রেখে সোলার বসানো উচিত।'
নবায়নযোগ্য জ্বালানির জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠান ইডকলের নির্বাহী পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলমগীর মোর্শেদ বলেন, 'গত দুই বছরে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খুবই উৎসাহব্যঞ্জক হয়েছে।'
তার মতে, খরচ কমানোর পরীক্ষিত উপায় হিসেবে সৌরশক্তি উঠে এসেছে। কারখানাগুলো প্রতি ইউনিট (কিলোওয়াট-ঘণ্টা) গ্রিড বিদ্যুতের জন্য ১০-১২ টাকা দেয়। এই পরিমাণ বিদ্যুৎ দিয়ে একটি এয়ার কন্ডিশনার ৪০ মিনিট চালানো যায়। ছাদে বসানো সোলার সেই বিদ্যুৎ প্রায় অর্ধেক দামে সরবরাহ করে।
তিনি বলেন, 'শিল্পের জন্য ছাদ সোলারের আর্থিক সুবিধা এখন স্পষ্ট।'
প্রযুক্তিগত উদ্বেগও অনেকটাই কেটে গেছে। মোর্শেদ বলেন, 'সৌরশক্তি জটিল নয়। গ্রাহকরাও এখন এতে আস্থা রাখছেন।'
ইডকলের নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিভাগের প্রধান মো. এনামুল করিম পাভেল জানিয়েছেন, গত আট মাসে ৩০টিরও বেশি কোম্পানি ছাদে সোলার বসানোর আগ্রহ প্রকাশ করেছে। 'এ পর্যন্ত ইডকল ৫২টি কারখানায় ১৬৫ মেগাওয়াট-পিক অর্থায়ন করেছে।'
রাষ্ট্রায়ত্ত এই আর্থিক প্রতিষ্ঠানটির হিসাব অনুযায়ী, তৈরি পোশাক, টেক্সটাইল ও অন্যান্য শিল্প ভবনের ছাদে সোলার প্যানেল বসালে বাংলাদেশে ৪ হাজার মেগাওয়াট-পিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।
জ্বালানির একটি অংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি দিয়ে পূরণ করা উদ্যোক্তাদের জন্য—বিশেষ করে রপ্তানিকারকদের জন্য—একটি ভালো বিকল্প।

বৈশ্বিক ক্রেতাদের উৎসাহ নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে
বৈশ্বিক ব্র্যান্ডগুলো তাদের সরবরাহকারীদের জলবায়ু অঙ্গীকারে বাধ্য করছে। বেশিরভাগ শীর্ষ পোশাক কোম্পানি জাতিসংঘের 'সায়েন্স বেইজড টার্গেটস' উদ্যোগে সই করেছে, যা কার্বন নিঃসরণ কমাতে পরিমাপযোগ্য উদ্যোগগুলোকে বাধ্যতামূলক করছে।
আমেরিকান ঈগল এখন তাদের প্রথম ও দ্বিতীয় স্তরের সরবরাহকারীদের কমপক্ষে ১০ শতাংশ বিদ্যুৎ নবায়নযোগ্য উৎস থেকে নেওয়ার জন্য বলছে। লিভাই স্ট্রস অ্যান্ড কো এবং গ্যাপ ২০৩০ সালের মধ্যে ৪২ শতাংশ নিঃসরণ কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
বেলজিয়ামের শীর্ষ পোশাক ব্র্যান্ড স্ট্যানলি/স্টেলা ২০৩০ সালের মধ্যে স্কোপ-৩ কার্বন নিঃসরণ ৩০ শতাংশ কমানোর লক্ষ্য ঘোষণা করেছে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সঙ্গে এক বৈঠকে প্রতিষ্ঠানটি নবায়নযোগ্য জ্বালানি সম্প্রসারণে বাংলাদেশের অগ্রগতির প্রশংসা করেছে এবং স্থানীয় সরবরাহকারীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার মাধ্যমে গ্রিন টেকনোলজি গ্রহণের ওপর জোর দিয়েছে।
বাংলাদেশের কারখানার জন্য কমপ্লায়েন্স এখন আর ঐচ্ছিক বিষয় নয় উল্লেখ করে এ প্রসঙ্গে হা-মীম গ্রুপের তানুল বলেন, 'নবায়নযোগ্য উৎসের প্রমাণ ছাড়া চুক্তি করতে গেলে ঝুঁকি থাকে। এখন আমাদের বাধ্যতামূলকভাবে ক্রেতাদের কাছে বার্ষিক নিঃসরণ হ্রাসের পরিকল্পনা জমা দিতে হয়।'
আগামী বছরগুলোতে জ্বালানিতে ভর্তুকি বন্ধ হওয়ার ঝুঁকির কারণেও প্রতিষ্ঠানগুলো এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। একবার বিদ্যুতে ভর্তুকি তুলে নিলে দাম হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
গবেষণা সংস্থা চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের প্রধান নির্বাহী এম জাকির হোসেন খান সতর্ক করে বলেন, 'ভর্তুকি ছাড়া শিল্পগুলোকে প্রতি ইউনিট গ্রিড বিদ্যুতের জন্য ২০ টাকা পর্যন্ত দিতে হতে পারে। সেক্ষেত্রে রাতারাতি শিল্পায়ন ভেঙে পড়তে পারে। শিল্পের প্রতিযোগিতামূলক টিকে থাকার একমাত্র পথ হলো নবায়নযোগ্য জ্বালানি।'
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, 'বড় কোনো নীতিগত সহায়তা ছাড়াই ব্যবসায়ীরা আর্থিক সুবিধা বুঝে নবায়নযোগ্য জ্বালানির জন্য এগিয়ে গেছেন। আমরা নতুন মার্চেন্ডাইজ পাওয়ার পারচেজ এগ্রিমেন্টও দেখেছি। যেমন: প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ ও এইচঅ্যান্ডএমের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছে।'
তিনি বলেন, 'এটা উৎসাহব্যঞ্জক। কারণ, এর মাধ্যমে বেসরকারি খাতের জন্য নতুন চুক্তির সুযোগ তৈরি হয়। যারা নিজেরা প্ল্যান্ট বসাতে সক্ষম না, তারাও গ্রিডের মাধ্যমে এসব চুক্তি ব্যবহার করে লাভবান হতে পারে।'
কর্তৃপক্ষের কাছে কারখানাগুলোর ছাদে বসানো সোলার নিয়ে কোনো আলাদা তথ্য নেই। তবে, টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (স্রেডা) প্রাক্কলন, নেট মিটারিং ব্যবস্থায় ৩ হাজার ৯০৯টি ছাদ সোলার ইউনিট অফিস, কারখানা ও গৃহস্থালি মিলে প্রায় ১৯০ মেগাওয়াট-পিক বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে।
ছাদ সোলার থেকে নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনা ও সরকারের লক্ষ্য বিবেচনায় এই পরিমাণ নগণ্য।
অন্তর্বর্তী সরকার একটি জাতীয় ছাদ সোলার কর্মসূচি চালু করেছে, যা সরকারি ভবনে বাধ্যতামূলকভাবে স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছে। ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ৩ হাজার মেগাওয়াট-পিক অর্জনের লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে এই কর্মসূচির মাধ্যমে।
দীর্ঘমেয়াদে ২০৪০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। এই পরিকল্পনা পূরণ করতে হলে ছয় মাসের মধ্যে সৌরশক্তির সক্ষমতা ১২ গুণ বাড়াতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই লক্ষ্য অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষী। এর আগেও ২০১৫ সালের মধ্যে মোট চাহিদার ৫ শতাংশ এবং ২০২০ সালের মধ্যে ১০ শতাংশ নবায়নযোগ্য উৎস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য পূরণ হয়নি।
শিল্প সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, ছাদ সোলারের চ্যালেঞ্জগুলো সমাধান করতে পারলে লক্ষ্য অর্জন সহজ হবে।

চ্যালেঞ্জ অনেক
অর্থায়নই রয়ে গেছে মূল বাধা। সৌরশক্তির জন্য প্রাথমিকভাবে বড় অঙ্কের বিনিয়োগ প্রয়োজন। অথচ বাণিজ্যিক ব্যাংকের ঋণ স্বল্পমেয়াদি ও ব্যয়বহুল।
ইডকলের আলমগীর মোর্শেদ/এনামুল করিম পাভেল বলেন, 'যেসব শিল্প ছাদ বা ভাসমান সোলারে যাচ্ছে, তাদের ভর্তুকি ও সাশ্রয়ী অর্থায়ন প্রয়োজন। বিনিয়োগকারীদের অত্যন্ত স্বল্পসুদে ঋণ দিতে হবে এবং সরকারকে সুদের একটি অংশ বহন করতে হবে।'
নেট মিটারিং ব্যবস্থায় কারখানা অতিরিক্ত বিদ্যুৎ গ্রিডে বিক্রি করার সুযোগ পায়। এর জন্য কাগজপত্র করতে ও অনুমোদন পেতে প্রায়ই মাসের পর মাস সময় লাগে।
বাংলাদেশ সাসটেইনেবল অ্যান্ড রিনিউএবল এনার্জি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তফা আল মাহমুদ বলেন, 'অনেক শিল্পে সোলার সিস্টেম বসানো হয়েছে। কিন্তু গ্রিডে সঠিকভাবে সরবরাহ না করতে পারায় জাতীয় গ্রিড বন্ধ থাকলে অনেক বিদ্যুৎ নষ্ট হয়।'
তিনি বলেন, 'কার্বন নিঃসরণ কমানোর জন্য বৈশ্বিক ক্রেতাদের চাপ পোশাকশিল্পকে এগিয়ে নিচ্ছে। কিন্তু জাতি হিসেবে আমদানিনির্ভর জ্বালানি ও ভর্তুকির ওপর নির্ভরতা অর্থনীতিতে ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করছে। কাজেই নবায়নযোগ্য জ্বালানিই একমাত্র যৌক্তিক পথ।'
গ্যাস মজুত দ্রুত কমছে। পেট্রোবাংলার হিসাবে, পুনরুদ্ধারযোগ্য মজুত এখন প্রায় ৮.৫ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। বর্তমান উত্তোলনের হারে এই মজুত আরও প্রায় ১১ বছর চলবে। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাস্তবসম্মত হিসাব হচ্ছে এই মজুত মাত্র ৮ বছর চলবে।
সৌর সরঞ্জামে শুল্ক এখনো বেশি এবং ছোট পরিসরের প্রণোদনা নেই।
মাহমুদ বলেন, 'লিথিয়াম আয়রন ফসফেট ব্যাটারির উদাহরণ ধরা যাক। সরকার এর জন্য কিছু শুল্ক কমালেও তা কার্যকরভাবে হয়নি। লিথিয়াম-আয়ন সিস্টেমের মূল উপাদান লিথিয়াম সেল, প্যাক উপকরণ ও ব্যাটারি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে কোনো শুল্কছাড় দেওয়া হয়নি।'
সৌর প্যানেলে কম শুল্ক থাকার কথা থাকলেও ক্রেতাদের এখনো ১৪ থেকে ২৮ শতাংশ অগ্রিম আয়করসহ বিভিন্ন চার্জ দিতে হয়।
মাহমুদ বলেন, 'এটি সাংঘর্ষিক। সরকার জ্বালানিখাতে বিপুল ভর্তুকি দিচ্ছে, কিন্তু নবায়নযোগ্য সরঞ্জামে শুল্ক মওকুফ করছে না।'
তিনি আরও বলেন, 'কোনো প্রকল্প প্রণোদনা ছাড়া সফল হয় না। এক কিলোওয়াট সোলার সিস্টেম বসাতে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়। কিন্তু এ নিয়ে কোনো ব্যবস্থা নেই।'
স্রেডার নবায়নযোগ্য শাখার সদস্য আশরাফুল আলম বলেন, এর মূল কারণ হলো কারখানায় ছাদ সোলার এখন পর্যন্ত ঐচ্ছিক।
তিনি বলেন, 'মানুষকে এটি করতে বাধ্য করা হয়নি। তারা লাভ দেখলে করেছে, না দেখলে করেনি। অনেক স্থাপনাই অফ-গ্রিড, মূলত গ্রামীণ সৌর হোম সিস্টেম। এগুলো গ্রিডে যায় না, সম্পূর্ণ অফ-গ্রিড।'
Comments