তৈরি পোশাক রপ্তানি: ২৭ গুণ কম রপ্তানি দেখিয়ে অর্থ পাচারের চেষ্টা

বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কের প্রভাব
স্টার ফাইল ফটো

ঘোষণার চেয়ে ২৭ গুণ কম মূল্যের পণ্য রপ্তানি করে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা অর্থ পাচার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে নারায়ণগঞ্জের তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ফাইয়াজ ফ্যাশন লিমিটেডের বিরুদ্ধে।

সম্প্রতি কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা চালানটি রপ্তানির শেষ মুহূর্তে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আটক করে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

কাস্টমস গোয়েন্দার নথির তথ্যে দেখা যায়, রপ্তানিকারক জাল কাগজপত্র ব্যবহার করে ১২ হাজার ৪৮৫ ডলার মূল্যের ৮ হাজার ৩৫০ পিস তৈরি পোশাক রপ্তানির জন্য একটি চালান সৌদি আরবে পাঠানোর চেষ্টা করে। তবে শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা এ চালানটিতে ৮৫ হাজার ৩৬৪ পিস ডেনিম প্যান্ট খুঁজে পান যার বাজারমূল্য ৩ লাখ ৪১ হাজার ৪৭২ ডলার। চালানটি রপ্তানি হলে এর বিপরীতে ৩ লাখ ২৮ হাজার ৯৮৭ ডলার বা ৩ দশমিক ৬২ কোটি টাকা দেশে ফেরত আসত না বলে জানান শুল্ক কর্মকর্তারা।

নথি অনুযায়ী, গত ১৫ জানুয়ারি চালানটি রপ্তানির জন্য শফি মোটরস কনটেইনার ডিপোতে আনা হয়েছিল। চালানটিতে ঘোষিত পণ্য সঠিক ছিল জানিয়ে প্রতিবেদন দেন ডিপোতে থাকা কাস্টমস কর্মকর্তারা।

কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ফখরুল আলম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ঘোষণার সঙ্গে কায়িক পরীক্ষায় পাওয়া পণ্যের নাম ও পরিমাণের কোনো মিল না থাকা সত্ত্বেও কাস্টম কর্মকর্তারা চালানটি রপ্তানির জন্য ছাড়পত্র দেন। চালানের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।'

তিনি বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে ফৌজদারি মামলার পাশাপাশি অর্থ পাচারের মামলা করা হবে।

চালানটির রপ্তানি কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত ও রপ্তানিকারকের প্রতিনিধি আনমন এজেন্সির স্বত্বাধিকারী মো. আল আমিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ঘোষণায় অতিরিক্ত পণ্যগুলো অনিচ্ছাকৃত। যত দ্রুত সম্ভব শুল্ক কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি সমাধান করা হবে।'

Comments

The Daily Star  | English
Yunus, Charter, and Our Future

Yunus, Charter, and Our Future

Can the vision for 'New Bangladesh' ignore the poor, farmers, workers, youth, women, or employment and climate crises?

8h ago