ডেবেনহ্যামসের বকেয়া ১০ মিলিয়ন ডলার না পেলে মামলার হুমকি

ডেবেনহ্যামস
ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাজ্যের অন্যতম শীর্ষ পোশাক বিক্রেতা ডেবেনহ্যামসের কাছে পাওনা ১০ মিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ দাবি করেছে তিন ডজন পোশাক প্রস্তুতকারকদের সংগঠন ডেবেনহ্যামস ভেন্ডরস কমিউনিটি।

গতকাল ঢাকায় ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামে (ইআরএফ) সংবাদ সম্মেলনে রপ্তানিকারকরা জানান, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বকেয়া পরিশোধ না করলে দেউলিয়া হয়ে যাওয়া এই ব্রিটিশ পোশাক বিক্রেতার বিরুদ্ধে তারা মামলা করবেন।

ডেবেনহ্যামস ভেন্ডরস কমিউনিটির আহ্বায়ক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, 'ফরওয়ার্ডার এক্সপো ফ্রেইট লিমিটেডের (ইএফএল) গাফিলতির কারণে বকেয়া টাকা পাওয়া যায়নি।'

বাংলাদেশের ৩৬ পোশাক বিক্রেতা যুক্তরাজ্যের ১৫০ বছরের পুরোনো পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি ডেবেনহ্যামসের কাছে তৈরিপোশাক রপ্তানি করেছিল।

তিনি আরও বলেন, 'যেহেতু ডেবেনহ্যামস যুক্তরাজ্য ও পশ্চিমের বাজারে অত্যন্ত সুপরিচিত, তাই বিক্রয় চুক্তির মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করা হয়েছিল।'

'রপ্তানি থেকে পাওয়া অর্থ ব্যাংকে আসার পর শর্ত অনুসারে বিল অব লেডিং মনোনীত প্রতিনিধি ইএফএলের কাছে জমা দেওয়ার শর্ত ছিল। এসব শর্ত মেনেই আমরা গত এক দশক ধরে পণ্য রপ্তানি করে আসছি।'

তার ভাষ্য, করোনা মহামারির কারণে ডেবেনহ্যামস দেউলিয়া হওয়ার আগে বাংলাদেশের ৩৬ প্রতিষ্ঠান ৭০ মিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছিল। এর মধ্যে সরবরাহকারীরা গত চার বছরে প্রায় ৬০ মিলিয়ন ডলার পেয়েছেন। এখনো ১০ মিলিয়ন ডলার বকেয়া আছে।

'এক্সপো ফ্রেইট লিমিটেড এখন দেউলিয়া ডেবেনহ্যামসের চালান পরিচালনার সময় রপ্তানিকারীদের বকেয়া পরিশোধের জন্য আইনত দায়বদ্ধ' উল্লেখ করে মো. জাহাঙ্গীর আলম আরও বলেন, 'আমরা নিরলসভাবে এই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছি। কিছুটা হলেও সফল হয়েছি। কিন্তু ইএফএলের গাফিলতির কারণে আমরা আজও বাকি টাকা পাইনি।'

২০০০ সালের ৯ এপ্রিল ডেবেনহ্যামস যুক্তরাজ্যে অর্থের জন্য আবেদন করলে আদালত প্রশাসক নিয়োগ করে। পরে বাংলাদেশি রপ্তানিকারকরা একত্রিত হয়ে ডেবেনহ্যামস ভেন্ডরস কমিউনিটি গড়ে তোলেন।

জাহাঙ্গীর আলম বলেন, 'আমাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বন্দর ও ট্রানজিটে পড়ে থাকা পণ্যের বিষয়ে আলোচনা, যোগাযোগ, পাওনা আদায় ও সম্মিলিত সিদ্ধান্ত নেওয়া।'

এই ৩৬ রপ্তানিকারকদের মধ্যে যাদের মোট রপ্তানি বার্ষিক পাঁচ বিলিয়ন ডলারের বেশি, তাদের মধ্যে অনেক ছোট ও মাঝারি প্রতিষ্ঠান আছে। তারা এই লোকসান বহন করতে সক্ষম না।

'যথাসময়ে বকেয়া পরিশোধ করা না হলে আমরা অপূরণীয় ক্ষতিতে পড়বো,' যোগ করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

India imposes new condition on non-basmati rice exports

The Indian government has announced that exports of non-basmati rice will now be allowed only after registration with the Agricultural and Processed Food Products Export Development Authority (APEDA), an arm of the Commerce Ministry.

2h ago