বাজেট লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণে টাস্কফোর্সের প্রতিবেদন মেনে চলছে সরকার

২০২৫-২৬ অর্থবছর
অলঙ্করণ: আনোয়ার সোহেল/স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

অর্থনীতিকে চাঙা করার কৌশল প্রণয়নে টাস্কফোর্সের সুপারিশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য সরকারের রাজস্ব আদায় ও খরচের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এমনটি জানা গেছে।

উপরন্তু, অন্তর্বর্তী সরকার দেশের জন্য মধ্যমেয়াদি সামষ্টিক অর্থনৈতিক কাঠামো হালনাগাদ করেছে, যাতে টাস্কফোর্সের ভবিষ্যতের সুপারিশগুলো প্রয়োজন অনুসারে বাস্তবায়ন করা যায়।

এদিকে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট নির্ধারণ করা হয়েছে সাত লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। এটি চলতি অর্থবছরের জন্য প্রাথমিকভাবে নির্ধারিত সাত লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার তুলনায় কিছুটা কম।

ইতিহাসে এবারই প্রথম সরকার বিদায়ী অর্থবছরের তুলনায় কম টাকার বাজেট ঘোষণা করতে যাচ্ছে।

গত বৃহস্পতিবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক সার্কুলারে বলা হয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) জন্য রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হতে পারে চার লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকা। এটি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় সাত দশমিক ছয় শতাংশ বেশি।

টাস্কফোর্সের সাম্প্রতিক 'রি-স্ট্র্যাটেজিসিং দ্য ইকোনমি অ্যান্ড মোবিলাইজিং রিসোর্সেস ফর ইকুইটেবল অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট' শীর্ষক প্রতিবেদনে কিছু ধারণার ওপর ভিত্তি করে রাজস্ব আদায় ও খরচের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে এর প্রভাবের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সরকারের অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও বিভাগের জন্য অর্থ বরাদ্দ দিতে হবে।

আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ছয় শতাংশ। চলতি অর্থবছরে তা ধরা হয়েছে ছয় দশমিক ৭৫ শতাংশ।

দেশের রাজস্ব আদায় ও খরচের লক্ষ্যমাত্রার প্রবণতা বিশ্লেষণের পাশাপাশি অর্থ মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা কমিশন ও অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের ফলাফল বিশ্লেষণ করে টাস্কফোর্স এ সুপারিশ দেয়।

তাই সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে সুপারিশ মেনে রাজস্ব আদায় ও খরচের লক্ষ্য সংশোধন ও পুনর্বিন্যাসের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া, প্রতিটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য পৃথক রাজস্ব ও উন্নয়ন বাজেট প্রণয়ন করা হবে। যাতে তা বাজেট ব্যবস্থাপনা কমিটির অনুমোদিত খরচের সীমার মধ্যে থাকে।

তাই জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে তাদের অবদান বিবেচনায় নিয়ে খরচের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ ও উচ্চ অগ্রাধিকার প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দের জন্য মন্ত্রণালয়গুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বাজেট ব্যবস্থাপনা কমিটি মন্ত্রণালয়গুলোর কৌশলগত লক্ষ্যের সঙ্গে প্রাসঙ্গিকতা বিশ্লেষণ করে অগ্রাধিকার প্রকল্পগুলোর তালিকা চূড়ান্ত করবে।

Comments

The Daily Star  | English
child victims of July uprising Bangladesh

Child victims of July uprising: Of abandoned toys and unlived tomorrows

They were readers of fairy tales, keepers of marbles, chasers of kites across twilight skies. Some still asked to sleep in their mother’s arms. Others, on the cusp of adolescence, had just begun to dream in the language of futures -- of stethoscopes, classrooms, galaxies. They were children, dreamers of careers, cartoons, and cricket.

11h ago