‘হুরমতি চরিত্রে অভিনয় করে এত সাড়া পাব ভাবিনি’

ফেরদৌসী মজুমদার। ছবি: স্টার

এদেশের বিখ্যাত অভিনেত্রী ফেরদৌসী মজুমদারকে বলা হয় 'অভিনয়ের পাঠশালা'। মঞ্চে সাড়া জাগানো অসংখ্য নাটকে অভিনয় করেছেন একজীবনে।

টেলিভিশনে আসেন 'একতলা দোতলা' নাটকে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে। আলোচিত 'সংশপ্তক' ধারাবাহিক নাটকে 'হুরমতি' চরিত্রে অভিনয় করে তুমুল সাড়া ফেলেন।

মঞ্চ ও টিভি নাটক দুই প্ল্যাটফর্মকেই সমৃদ্ধ করেছেন গুণী এই শিল্পী। অভিনয় কলায় অবদানের জন্য পেয়েছেন স্বাধীনতা পুরস্কার, একুশে পদকসহ অনেক পুরস্কার। লেখালেখির জন্য পেয়েছেন বাংলা একাডেমি  পুরস্কার।

আজ বুধবার গুণী এই অভিনেত্রীর জন্মদিন। সম্প্রতি, দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে কথা বলেছেন ফেরদৌসী মজুমদার।

সাড়া জাগানো 'সংশপ্তক' নাটকে আপনার করা 'হুরমতি' চরিত্র সম্পর্কে জানতে চাই।

ফেরদৌসী মজুমদার: টেলিভিশনে প্রথম 'একতলা দোতলা' নাটকে অভিনয় করেছিলাম। একসময় 'সংশপ্তক' নাটকে কাজ করলাম। ওই নাটকে 'হুরমতি' চরিত্রে অভিনয় করে এত সাড়া পাব ভাবিনি।

মানুষ নাটকটি পছন্দ করেছে। কিন্তু, এতটা পছন্দ করবে ভাবনায় ছিল না। মানুষ এখনো 'হুরমতি' নিয়ে কথা বলে, 'সংশপ্তক' নিয়ে কথা বলে। ভালো লাগে একজন শিল্পী হিসেবে ।

'হুরমতি' চরিত্র করার পর মনে হয়েছিল এই একটি নাটক করলেই হতো। এই নাটকের জন্য দর্শকদের অনেক ভালোবাসা পেয়েছি, সম্মান পেয়েছি।

এখনো কি মঞ্চে সরব আছেন?

ফেরদৌসী মজুমদার: এখনো মাঝে মাঝে অভিনয় করি মঞ্চে। অনেক ভালো নাটক করেছি মঞ্চে, সবার ভাগ্য এমন হয় না, আমার হয়েছে। মঞ্চকে খুব আপন মনে করি। 'লাভ লেটার্স' নাটক করছি এখনো, এ মাসেও শো আছে।

অভিনয়জীবন নিয়ে কতটা পরিতৃপ্ত?

ফেরদৌসী মজুমদার: অভিনয় দিয়ে একজীবনে অনেক কিছু অর্জন করেছি। মঞ্চে এমন সব চরিত্রে অভিনয় করেছি, এত এত ভালো নাট্যকারের লেখায় অভিনয় করেছি, ভালো নির্দেশকের নির্দেশনায় অভিনয় করেছি যে জীবনে কোনো আফসোস নেই।

সৈয়দ শামসুল হকের লেখা 'পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়' নাটকে অভিনয় করেছি। দর্শকদের খুব পছন্দের নাটক এটি। যতদিন বাংলাদেশ  থাকবে ততদিন এই নাটক থাকবে। সেজন্য বলব, আমি নিজেকে যথেষ্ট পরিতৃপ্ত মনে করি।

আপনি দীর্ঘদিন শিক্ষকতাও করেছেন?

ফেরদৌসী মজুমদার: একদিকে অভিনয় করেছি, আরেকদিকে শিক্ষকতা করেছি। দুটোই প্রিয় ছিল আমার কাছে।

নাটক-চলচ্চিত্র-মঞ্চ কোন মাধ্যমে অভিনয় করে বেশি আনন্দ পেয়েছেন?

ফেরদৌসী মজুমদার: সবচেয়ে বেশি আনন্দ পেয়েছি মঞ্চে। মঞ্চ নাটকে অভিনয় কখনো বন্ধ করিনি। অন্যরকম ভালো লাগে এই মাধ্যমে অভিনয় করে। খুবই তৃপ্তি পাই। 

জন্মদিনের পরিকল্পনা কী করেছেন?

ফেরদৌস মজুমদার: থিয়েটারে সদস্যরা বাসায় আসে জন্মদিনে। ওদের পরিকল্পনা অবশ্য জানি না, কিন্তু বাসা ফুলে ফুলে ভরে যায়। আমার মেয়ে ত্রপারও জন্মদিন একইদিনে। ভালো লাগে একদিনে মা-মেয়ের জন্মদিন।

আগে অনেক রোমাঞ্চকর ছিল। রাত ১২টা বাজলেই কেক নিয়ে হাজির হতো ত্রপা। নাটকের মানুষসহ বিভিন্ন অঙ্গনের মানুষের ভালোবাসা পাই এই দিনে।

Comments

The Daily Star  | English

ICT to deliver judgment on Hasina today

This will be the tribunal's first verdict on the atrocities committed during the uprising.

6h ago