খনন শুরু, তিতাসের নতুন কূপে প্রতিদিন উঠবে ১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস গ্যাস ফিল্ডে নতুন একটি কূপ খনন কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড (বিজিএফসিএল)।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, ২৮ নম্বর কূপের খনন শেষ হলে প্রতিদিন অন্তত ১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে।
আজ সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুহিলপুরে তিতাস গ্যাস ফিল্ডের 'সি' লোকেশনে পেট্রোবাংলার (বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ করপোরেশন) পরিচালক প্রকৌশলী মো. শোয়েব প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে খনন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিজিএফসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. ফারুক হোসেন।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ২০১২ সালে গ্যাসের সন্ধানে তিতাস গ্যাস ফিল্ডের 'সি' লোকেশনে জরিপ চালানো হয়। জরিপ প্রতিবেদন পুনর্মূল্যায়নের পর ২০২০ সালে বিজিএফসিএল তিতাস গ্যাস ফিল্ডে তিনটি নতুন কূপ খননের সিদ্ধান্ত নেয়।
তারা আরও জানিয়েছেন, একই প্রকল্পের আওতায় গাজীপুরের কামতা গ্যাস ফিল্ডে একটি কূপ খনন করা হবে।
তিতাস ও কামতা গ্যাস ফিল্ডে চারটি কূপ খননে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় এক হাজার ২৫০ কোটি টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে চারটি কূপ থেকে দৈনিক
প্রায় ৫৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে। এর মধ্যে ২৮ নম্বর কূপ থেকেই দৈনিক প্রায় ১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা যাবে।
এতে সমন্বিতভাবে কাজ করছে চীনের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। পরিকল্পনা অনুসারে, তিতাস-২৮ নম্বর কূপটি লোকেশন 'সি' থেকে প্রায় তিন হাজার ৬৩৬ মিটার গভীরতায় ডিরেকশনালি খনন করা হবে। কূপটির খনন ও আনুষঙ্গিক কাজ শেষ হতে অন্তত ১১০ দিন সময় লাগতে পারে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শোয়েব বলেন, 'বিজিএফসিএল পরিচালিত গ্যাস ফিল্ডগুলোর উৎপাদন ইতোমধ্যে বেড়েছে। নতুন কূপ খনন ও ওয়ার্কওভার প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে দেশের জ্বালানি সংকট অনেকটাই কাটবে।'
তিতাস-৩১ ও বাখরাবাদ গ্যাস ফিল্ডের ১১ নম্বর গভীর কূপ খননের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।


Comments