উচ্ছেদের পর পাহাড় দখলমুক্ত রাখতে কাঁটাতারের বেড়া দিচ্ছে প্রশাসন

পাহাড়
আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের বেলতলীঘোনা এলাকায় ৮ একর পাহাড়ি জমি থেকে ৫০০ স্থাপনা উচ্ছেদ করে প্রশাসন। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের ফয়েজ লেক সংলগ্ন এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানের পরে পাহাড় দখলমুক্ত রাখতে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।

আজ বৃহস্পতিবার বেলতলীঘোনা এলাকায় ৮ একর পাহাড়ি জমি থেকে ৫০০ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।

জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. তৌহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম জেলার পাহাড় রক্ষায় হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে রিট করেছিল (পিটিশন নম্বর: ৯১১৪/২০২২) এবং আপিল বিভাগের সিভিল পিটিশন ফর লিভ টু আপিলের (নম্বর: ২৪৯২/২০২২) রায় বাস্তবায়নে এই অভিযান চালানো হয়েছে।

তিনি আরও জানান, এদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত আকবর শাহ থানাধীন ফয়েজ লেকের পাশে বেলতলীঘোনা এলাকায় পাহাড়ে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। এতে পুলিশ, আনসার ও পরিবেশ বিভাগের কর্মকর্তারা সহায়তা করেন।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. তৌহিদুল ইসলাম ও সহকারী কমিশনার (ভূমি, কাট্টলী সার্কেল) মো. উমর ফারুক।

এর আগে পাহাড় কাটার অভিযোগে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জহুরুল আলম জসিমসহ একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগর কার্যালয়।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামি থানা, আকবর শাহ ও খুলশী থানা এবং সীতাকুণ্ড উপজেলার জঙ্গল সলিমপুর-আলীনগর ছাড়াও বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় হাজার হাজার স্থাপনা গড়ে উঠেছে।

অভিযোগ রয়েছে, আকবর শাহ থানার ফয়েজ লেকের পাহাড়তলী মৌজায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর জহুরুল আলম জসিমের নেতৃত্বে চলছে পাহাড় দখল ও পাহাড় কাটা।

উচ্ছেদ অভিযান ও মামলা করেও সেখানে পাহাড় দখল ঠেকানো যাচ্ছে না। পাহাড়ে এসব স্থাপনায়, গ্যাস-বিদ্যুৎ এবং পানির সংযোগও দেওয়া হয়েছে।

আরও অভিযোগ রয়েছে, জাল দলিলের মাধ্যমে পাহাড়ি জমি বিক্রি করছে একটি মহল।

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তৌহিদুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আদালতে রায় বাস্তবায়নে আমরা অভিযান শুরু করেছি। আমরা পর্যায়ক্রমে সব জায়গায় অভিযান চালাব।'

এক প্রশ্নের জবাবে তৌহিদুল ইসলাম বলেন, 'যারা ১০-১৫ লাখ টাকা খরচ করে জমির জাল দলিল নিয়েছেন তাদের আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়ার কথা না। তারপরও যদি কেউ প্রকৃত ভূমিহীন থাকেন, স্থায়ী ঠিকানায় গিয়ে প্রশাসনের কাছে আবেদন করলে তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Hopes run high as DU goes to vote today

The much-anticipated Ducsu and hall union elections are set to be held today after a six-year pause, bringing renewed hope for campus democracy.

6h ago