কক্সবাজারে নিম্নচাপ-জোয়ারে নিচু এলাকা প্লাবিত, উপকূলে ফিরল ৫ হাজার ট্রলার

স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাব এবং পূর্ণিমার জোয়ারের কারণে কক্সবাজারে সাগর উত্তাল অবস্থায় রয়েছে। জেলার উপকূলীয় জনপদ মহেশখালী, কুতুবদিয়া, মাতারবাড়ি ও ধলঘাটাসহ আরও কয়েকটি নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ২ থেকে ৩ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছে কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস।

আবহাওয়া অফিস চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে।

গতকাল রোববার থেকে কক্সবাজারে বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। আজ সোমবার দিবাগত রাতেও প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের নিরাপদে ও সর্তকতার সঙ্গে সমুদ্রপাড়ে চলাচল করার পরামর্শ দিয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ। বৈরী আবহাওয়ায় পর্যটকদের যেন সাগর সৈকতে কোনো বিপদের সম্মুখীন হতে না হয়, সেজন্য সমুদ্র সৈকত এলাকায় লাইফ গার্ড সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছেন।

তিনি আরও বলেন, 'বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পর্যটক কক্সবাজারে ভ্রমণে এসেছেন। কিন্তু সাগর উত্তাল। তাই পর্যটকদের গোসল করতে সাগরে না নামার জন্য প্রচারণা চালানো হচ্ছে। সমুদ্র সৈকতের পর্যটক অধ্যুষিত এলাকায় লাল পতাকা উড়িয়ে দিয়ে পর্যটকদের সতর্ক করা হচ্ছে। সৈকতে আগত পর্যটকদের সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে।'

এদিকে সাগর উত্তাল থাকায় কক্সবাজার জেলার উপকূলীয় এলাকার প্রায় ৫ হাজার মাছ ধরার ট্রলার উপকূলে নোঙ্গর করেছে বলে জানিয়েছেন জেলা ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন। আবহাওয়া বার্তা প্রচারের সঙ্গেসঙ্গেই ট্রলারগুলো সাগর থেকে উপকূলে ফিরে এসেছে বলে জানান তিনি।

কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে। আরও কয়েকদিন থেমে থেমে বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

Comments

The Daily Star  | English

Victory day today: A nation born out of blood and grit

The tide of war had turned by mid-December in 1971. The promise of freedom was no longer a dream. It had hardened into tangible certainty.

10h ago