রমজানের এক সপ্তাহ আগেই বেড়েছে ফলের দাম

ঢাকার পান্থপথ এলাকায় একটি ফলের দোকান। স্টার ফাইল ছবি

পবিত্র রমজান মাস ঘিরে এবার আগেভাগেই বাড়তে শুরু করেছে ফলের দাম। রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা পর্যায়ে এক লাফে বেড়েছে প্রায় সব ফলের দাম।

বুধবার কারওয়ানবাজার, ফার্মগেট ও কচুক্ষেত বাজারের ফল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত সপ্তাহে যে আনারস বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকায়, আজকে সেটি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। বড় বেল (বেলি বেল) গত সপ্তাহে ১০০-১২০ টাকায় বিক্রি হলেও আজকে এটির দাম ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। অন্য ধরনের বেল যা আগে ছিল ৫০ থেকে ৭০ টাকা সেটি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকায়। জাম্বুরার দাম গত সপ্তাহে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা হলেও আজ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায়।

গত সপ্তাহে পাকা পেঁপের দাম ছিল ৬০ থেকে ৮০ টাকা, আজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৬০ টাকায়। পেয়ারার দাম ছিল ৫০ থেকে ৭০ টাকা এখন বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকায়। তরমুজ গত সপ্তাহে কেজি ৫০ টাকা করে বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়।

এছাড়া সফেদা ১০০ টাকা থেকে বেড়ে ১৫০ টাকায়, সবরি কলা ডজন ৮০-১০০ টাকা থেকে বেড়ে ১১০ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সাগর কলা, চম্পা কলা, বাংলা কলাসহ প্রতিটির দাম ডজনে ১০-২০ টাকা বেড়েছে।

কারওয়ান বাজারের ফল ব্যবসায়ী শের আলী বলেন, 'আমি গত ৩০ বছর ধরে ফলের ব্যবসা করি। প্রতি বছর যেটা হয়, রোজার সময় ফলের চাহিদা বেড়ে যায়। অন্তত পঞ্চম রোজা পর্যন্ত ধনী-গরীব সবাই চেষ্টা করে ইফতারে ফলের আইটেম রাখতে। চাহিদা বেড়ে যায় সেজন্য দামও বেড়ে যায়। প্রতি বছর রোজার আগেই অল্প অল্প দাম বাড়তে থাকে। কিন্তু রোজার ২-৩ দিন আগেই মূলত দাম হুট করে বাড়ে। তবে এ বছর রোজা শুরুর ১০-১২ দিন আগেই এক লাফে পাইকারি বাজারে সব ধরনের ফলের দাম বেড়েছে।'

বিক্রির বিষয়ে তিনি বলেন, 'এখন ফলের চাহিদা আছে। যারা কিছুটা স্বাবলম্বী তারা আগে থেকেই রোজার বাজার করে ফেলছেন। দেখা যায়, ফলও কিনে নিচ্ছেন।'

তার দোকান থেকে ফল কিনছিলেন ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, 'রোজায় তরমুজের বিশাল চাহিদা থাকে। রোজা রেখে তরমুজ, বেলের শরবত এগুলো খেতে ভালো লাগে। তাই তরমুজ, খেজুর, পেপে কিনে নিচ্ছি। আগে থেকেই কিনছি যাতে আরও দাম বাড়লে একটু টাকা বাঁচানো করা যায়।'

Comments

The Daily Star  | English

'Shoot directly': Hasina’s order and deadly aftermath

Months-long investigation by The Daily Star indicates state forces increased deployment of lethal weapons after the ousted PM authorised their use

22h ago