পরমাণু বোমাবাহী ‘আন্ডারওয়াটার ড্রোন’ পরীক্ষা চালাল উত্তর কোরিয়া

আন্ডারওয়াটার ড্রোন
মেয়েকে (বামে) সঙ্গে নিয়ে মহড়া দেখছেন কিম জং উন। সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ এটি ২০ মার্চ ২০২৩ প্রকাশ করে। ছবি: এএফপি

সাগরে 'রেডিওঅ্যাকটিভ সুনামি' ছড়িয়ে শক্রপক্ষের জাহাজ ও বন্দর ধ্বংস করার ক্ষমতাসম্পন্ন পরমাণু বোমাবাহী ড্রোনের পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া।

আজ শুক্রবার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কেসিএনএর বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানায়।

সংবাদ প্রতিবেদন অনুসারে, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের নির্দেশনা মোতাবেক গত সপ্তাহে সামরিক মহড়ার সময় এই নতুন অস্ত্রের পরীক্ষা হয়।

এই অস্ত্রের মাধ্যমে 'ভয়াবহ মাত্রায় ধ্বংসাত্মক বিস্ফোরণ ও ঢেউ' সৃষ্টি করা সম্ভব।

কেসিএনএর প্রতিবেদনে বলা হয়, 'এই পানির নিচে পরমাণু হামলা চালাতে সক্ষম ড্রোন দিয়ে যেকোনো উপকূল ও বন্দরে হামলা চালানো যাবে।'

এতে আরও বলা হয়, সামরিক মহড়া চলার সময় গত মঙ্গলবার দক্ষিণ হামগিয়ং প্রদেশের উপকূলে নামানো হয়েছিল। এরপর গতকাল বৃহস্পতিবার এটি সাগরের ৮০ মিটার থেকে ১৫০ মিটার গভীরে ৫৯ ঘণ্টা ১২ মিনিট অবস্থান করে।

ড্রোনটির পরমাণু সক্ষমতা সম্পর্কে বিস্তারিত উল্লেখ না করে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এটি শত্রুপক্ষের জলসীমায় ঢুকে নৌযান ও বড় বন্দরগুলো ধ্বংস করতে সক্ষম।

দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়োনহাপ সংবাদ সংস্থা জানায়, হংউন উপসাগরে নকল বন্দর বানিয়ে উত্তর কোরিয়া সেখানে ড্রোন দিয়ে আঘাত করে।

গতকাল দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী জানায়, উত্তর কোরিয়া একদিন আগে দেশটির পূর্ব উপকূলে ৪টি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে।

কেসিএনএ জানায়, দক্ষিণ হামগিয়ং প্রদেশে ২টি 'হ্বাসাল-১' ও ২টি 'হ্বাসাল-২' ধরনের কৌশলগত ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে, যা পূর্ব সাগর হিসেবে পরিচিত জাপান সাগরে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে।

গত ১৩ মার্চ যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া যৌথ সামরিক মহড়া 'ফ্রিডম শিল্ড' শুরু করলে এর প্রতি-উত্তরে উত্তর কোরিয়া ক্রমাগত অস্ত্র পরীক্ষা চালায়।

Comments