আজই পদত্যাগ করবেন কেজরিওয়াল, নতুন মুখ্যমন্ত্রী নিয়ে জল্পনা

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ফাইল ছবি: স্টেটসম্যান
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ফাইল ছবি: স্টেটসম্যান

জামিনে মুক্তি পেয়েই পদত্যাগের ঘোষণা দেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এরপর নিজেই জন্য ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেন। আজ এই সময়সীমা শেষ হওয়ার পর পদত্যাগ করবেন তিনি।

আজ এই তথ্য জানিয়েছে ভারতের গণমাধ্যম এনডিটিভি।

জানা গেছে, বিকেল সাড়ে চারটায় (স্থানীয় সময়) লেফটেন্যান্ট গভর্নরের সঙ্গে দেখা করে পদত্যাগ করবেন কেজরিওয়াল। তবে তার উত্তরসূরি কে হবেন, তা এখনো জানা যায়নি।

শুক্রবার জামিনে মুক্তি পেয়েই বিস্ময় জাগানিয়া ঘোষণাটি দেন কেজরিওয়াল—জনতার আদালতে নিজের নাম পরিষ্কার করতে পদত্যাগ করবেন এই জনপ্রিয় নেতা।

রোববার কেজরিওয়াল ঘোষণা দেন, ঠিক দুই দিন পর পদত্যাগ করবেন তিনি।

'আমি আইনি আদালত থেকে ন্যায়বিচার পেয়েছি। এখন আমি জনতার আদালত থেকে ন্যায়বিচার চাই। আমি দিল্লির মানুষের কাছে জানতে চাই, কেজরিওয়াল কি নিষ্পাপ না দোষী? আমি যদি আপনাদের জন্য কাজ করে থাকি, তাহলে আমাকে আবারও ভোট দিন', যোগ করেন তিনি।

নতুন মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে রোববার ও সোমবার কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে। তবে এখনো জানা যায়নি নতুন মুখ্যমন্ত্রীর নাম। কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি আজ বিকেলে এ বিষয়ে একটি ঘোষণা দেবে।

সোমবার কেজরিওয়াল দলের রাজনীতি বিষয়ক কমিটির সঙ্গে দেখা করে তাদের অভিমত চেয়েছেন। দলের জ্যেষ্ঠ নেতা সৌরভ ভরদ্বাজ জানান, কেজরিওয়াল দলের কয়েকজন নেতার সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক করেছেন।

কেজরিওয়ালের সাবেক উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়াও জানিয়েছেন, তিনি আপাতত এই পদে আসতে আগ্রহী নন। তিনিও ১৮ মাস কারাগারে থাকার পর জামিনে মুক্তি পান। সিসোদিয়া ও কেজরিওয়াল উভয়ই মদের আবগারি শুল্ক সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।

সম্ভাব্য মুখ্যমন্ত্রীর তালিকায় আছেন শিক্ষামন্ত্রী অতিশি সিং (যিনি অতিশি নামেই নিজের পরিচয় দেন)। অন্যান্যদের মধ্যে আছেন সৌরভ ভরদ্বাজ, রাঘভ চাধা, কৈলাশ গাহলত ও সঞ্জয় সিং।

দিল্লির পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন অতিশি।ফাইল ছবি: স্টেটসম্যান
দিল্লির পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন অতিশি।ফাইল ছবি: স্টেটসম্যান

কেজরিওয়াল দিল্লি রাজ্যে আগাম নির্বাচন চেয়েছেন। তিনি চান নভেম্বরে মহারাষ্ট্র ও দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনের আয়োজন করা হোক। বর্তমান সময়সীমা মতে, ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল।

তবে নভেম্বরে নির্বাচন হলেও কেজরিওয়ালের আইনি সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। সুপ্রিম কোর্ট তাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য না করলেও জানিয়েছে, জামিনে মুক্ত থাকলেও তিনি লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনার সম্মতি ছাড়া নিজের কার্যালয়ে বা দিল্লিতে অবস্থিত সচিবালয়ে যেতে পারবেন না। যার ফলে, কার্যত মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তার জন্য দায়িত্ব পালন অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

শুক্রবার কেজরিওয়াল পদত্যাগের ইচ্ছের কথা জানানোর পর বিজেপির সদস্যরা ঠাট্টা করে বলেছেন, 'আজকেই কেন তিনি পদত্যাগ করছেন না?'।

ইন্ডিয়া জোটে আম আদমি পার্টির মিত্র হলেও কংগ্রেসের সঙ্গে কেজরিওয়ালের অতীতে বিরোধের নজির রয়েছে। দলটি কেজরিওয়ালের পদত্যাগের উদ্যোগকে 'রাজনৈতিক স্টান্ট' হিসেবে উল্লেখ করেছে।

দিল্লি কংগ্রেস প্রধান দেবেন্দ্র যাদব বলেন, 'যখন দিল্লিতে বন্যা হচ্ছিল ও সুপেয় পানির অভাব দেখা দিয়েছিল, তখনই তার পদত্যাগ করা উচিত ছিল।'

Comments

The Daily Star  | English

FY26 Budget: Subsidy spending to hold steady

The budget for fiscal 2025-26 is likely to be smaller than the current year’s outlay, but subsidy spending is expected to remain almost unchanged at Tk 1,15,741 crore.

8h ago