নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আমস্টারডামে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ, শতাধিক গ্রেপ্তার

ড্যাম স্কয়ারের জমায়েত। ছবি: এএফপি

ইসরায়েলি ফুটবল সমর্থকদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষের রেশ ধরে শুক্রবার নেদারল্যান্ডসের রাজধানী আমস্টারডামে বিক্ষোভ কর্মসূচি ও সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছিলেন নগরের মেয়র ফেমকে হালসেমা।

কিন্তু রোববার সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইসরায়েলে গণহত্যা বন্ধ ও ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতার দাবিতে নগরের ড্যাম স্কয়ারে জড়ো হন শত শত বিক্ষোভকারী।

আল জাজিরার প্রতিবেদন বলেছে, ড্যাম স্কয়ারের শান্তিপূর্ণ জমায়েত থেকে শতাধিক আন্দোলনকারীকে আটক করেছে আমস্টারডাম পুলিশ।

এর আগে ইসরায়েলি সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষ প্রসঙ্গে আমস্টারডামের পুলিশ প্রধান পিটার হোল্লা জানান, তাদের তদন্তে উঠে এসেছে যে বৃহস্পতিবার স্থানীয় ক্লাব আয়াক্সের বিপক্ষে ইউরোপা লিগের ম্যাচের আগে ইসরায়েলি দল মাক্কাবি তেল-আবিবের সমর্থকরা আমস্টারডামে ভাঙচুর চালিয়েছে। তারা ড্যাম স্কয়ারে ফিলিস্তিনি পতাকা পুড়িয়েছে এবং একটি ট্যাক্সি ভাঙচুর করেছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ভিডিওতে মাক্কাবি সমর্থকদের ম্যাচ চলাকালে গণহত্যার পক্ষে এবং আরব-বিরোধী স্লোগান দিতে দেখা যায়। ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে স্পেনের বন্যাদুর্গতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালনের সময়েও তাদের বাঁশি বাজাতে এবং স্লোগান দিতে দেখা যায়।

ধারণা করা হচ্ছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসব ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পরই ম্যাচশেষে স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে ইসরায়েলি সমর্থকদের। এই সংঘর্ষে জড়িত থাকা সন্দেহে ৬০ জনের বেশি স্থানীয় নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে আমস্টারডাম পুলিশ।

এ সংঘর্ষের রেশ ধরে আমস্টারডামে বিক্ষোভ, সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন নগরের মেয়র। রোববার তার সেই সিদ্ধান্ত বহাল রাখার পক্ষে রায় দেন আদালত।

আল জাজিরা জানায়, এই রায়ের পরই ড্যাম স্কয়ারে জমায়েত হন আমস্টারডামের গণহত্যাবিরোধী বিক্ষোভকারীরা।

আল জাজিরার আমস্টারডাম প্রতিবেদক স্টেপ ভ্যাসেন বলেন, 'আগে কখনোই এমন নিষেধাজ্ঞা দেয়নি আমস্টারডাম কর্তৃপক্ষ। কিন্তু গত এক বছরে এই শহরে ফিলিস্তিনের পক্ষে এমন বিক্ষোভ কর্মসূচির সংখ্যা অনেক বেড়েছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Jet slams into school, kills 22, mostly children

The final bell had rung.Dozens of children from the primary section of Milestone School and College in Dhaka, along with their guardians and teachers, lingered inside the two-storey building -- some preparing to head home, chatting and winding down from the day.

3h ago