পুতিন নয়, আমেরিকানদের উদ্বেগের আরও বড় বড় কারণ রয়েছে: ট্রাম্প

ওভাল অফিসে বিরস বদনে জেলেনস্কির (ছবিতে নেই) বক্তব্য শুনছেন ট্রাম্প। ছবি: এএফপি
ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এএফপি

পুতিনের সঙ্গে অতি মাত্রায় ঘনিষ্ঠতা দেখাচ্ছেন ট্রাম্প—এমন অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট। তার দাবি, পুতিন নয়, আমেরিকানদের উদ্বিগ্ন হওয়ার আরও অনেক বড় বড় কারণ রয়েছে।

আজ সোমবার এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি।

আবাসন ব্যবসায়ী থেকে রাজনীতিবিদ হয়ে ওঠা ট্রাম্প তার নিজের সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশালে বলেন, 'পুতিনকে নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে আমাদের বেশি সময় নষ্ট করা উচিত নয়। বরং অভিবাসন প্রত্যাশী ধর্ষক চক্র, মাদক সম্রাট, খুনি ও মানসিক হাসপাতাল থেকে (পালিয়ে) আসা মানুষ আমাদের দেশে ঢুকে পড়ছে, এটা নিয়ে উদ্বেগ করুন—(নিশ্চিত করুন) যাতে আমাদের অবস্থা ইউরোপের মতো না হয়!'

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে মার্কিন প্রশাসনের দৃষ্টিভঙ্গি পুরোপুরি বদলে গেছে, যার বড় প্রমাণ ছিল শুক্রবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে সাংবাদিকদের সামনে অপদস্থ করার উদ্যোগ।

লাইভ টিভির সামনে ট্রাম্প-জেলেনস্কি ও মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স এক নজিরবিহীন বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। ট্রাম্প ইউক্রেনের নেতার আচরণকে 'অসম্মানজনক' বলে অভিহিত করেন। দুই পক্ষ বিরল খনিজ সম্পদের চুক্তিতে সইয়ের উদ্দেশ্য নিয়ে হোয়াইট হাউসে আসলেও সেই উদ্যোগ ভেস্তে যায়।

জেলেনস্কিকে হোয়াইট হাউস থেকে বের হয়ে যেতে বলা হয়।

ট্রাম্প-পুতিনের ঘনিষ্ঠতা নিয়ে বিভিন্ন মহলে উদ্বেগ

২০১৯ সালের জি২০ সম্মেলনের সাইডলাইনে ট্রাম্প-পুতিন। ফাইল ছবি: রয়টার্স
২০১৯ সালের জি২০ সম্মেলনের সাইডলাইনে ট্রাম্প-পুতিন। ফাইল ছবি: রয়টার্স

ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রেখেছেন ট্রাম্প। দুই প্রেসিডেন্ট ফোনে কথা বলেছেন, দুই দেশের প্রতিনিধিরা বৈঠক করেছে এবং আগামীতে আরও বেশ কয়েকটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের কথাও বলা হচ্ছে।

ট্রাম্পের সঙ্গে পুতিনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এখন অনেকের জন্য বড় উদ্বেগের কারণ, বিশেষত, ইউরোপে এবং মার্কিন ডেমোক্র্যাটিক পার্টিতে।

ডেমোক্র্যাটিক সিনেটর ও ট্রাম্পের সবচেয়ে বড় সমালোচকদের অন্যতম ক্রিস মার্ফি মন্তব্য করেন, 'হোয়াইট হাউস এখন ক্রেমলিনের অঙ্গ সংগঠনে পরিণত হয়েছে।'

'মনে হচ্ছে, আমেরিকা এখন একনায়কদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার চেষ্টা করছে', যোগ করেন তিনি।

তবে রিপাবলিকান পার্টিতে ট্রাম্পের সঙ্গেই সুর মিলিয়ে কথা বলছেন সব নেতারা। শীর্ষ কর্মকর্তারা এমনও বলেছেন যে জেলেনস্কির উচিত পদত্যাগ করা, যাতে মস্কোর সঙ্গে শান্তিতে 'শান্তি চুক্তি' করা যায়।

ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালজ গতকাল রোববার সিএনএনকে বলেন, 'আমাদের এমন একজন (ইউক্রেনীয়) নেতা দরকার যিনি আমাদের সঙ্গে চুক্তি করতে পারবেন এবং পরবর্তীতে রাশিয়ার সঙ্গেও চুক্তি করে এই যুদ্ধ বন্ধ করতে পারবেন।'

Comments

The Daily Star  | English

ICT may accept Badruddin Umar's testimony as evidence

As key witness, Umar had given statement to the IO, prosecution says

1h ago