সব জীবিত ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস

রেড ক্রসের এই গাড়িতে ১৩ জিম্মিকে উঠিয়ে দেয় হামাসের যোদ্ধারা। ছবি: এএফপি
রেড ক্রসের এই গাড়িতে ১৩ জিম্মিকে উঠিয়ে দেয় হামাসের যোদ্ধারা। ছবি: এএফপি

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর জিম্মি হওয়া ইসরায়েলিদের মধ্যে জীবিত আছেন এমন ২০ জনকে দাতব্য সংস্থা রেড ক্রসের কাছে হস্তান্তর করেছে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাস।

আজ সোমবার এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি।

সাত ও ১৩ জনের দুই দফায় তারা মুক্তি পান। ১৩ জনের দ্বিতীয় দলটিকে দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস থেকে রেড ক্রসের বাসে উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাসটি তেল আবিবের উদ্দেশে রওনা হয়েছে।

গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ দফা চুক্তি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দিয়েছে হামাস। 

দিনের আগের অংশে সাত জিম্মিকে রেড ক্রসের কাছে হস্তান্তরের মাধ্যমে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। 

চুক্তির অন্যতম শর্ত হিসেবে বাকি ৪৭ জিম্মির মরদেহও ইসরায়েলের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তবে ওই প্রক্রিয়া আজকের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করছে না তেল আবিব।

৪৭ জনের পাশাপাশি ২০১৪ সালে গাজায় নিহত এক ইসরায়েলি সেনার মরদেহও হামাস হস্তান্তর করবে।

জিম্মিদের মুক্তির খবরে তেল আবিবের 'হোস্টেজ স্কয়ারে' জমায়েত হওয়া হাজারো ইসরায়েলি উল্লাসে ফেটে পড়েন।

অপরদিকে, চুক্তির অংশ হিসেবে ইসরায়েলের বিভিন্ন কারাগারে আটক হাজারো ফিলিস্তিনি এখনো মুক্তির অপেক্ষায় আছেন।

তেল আবিবের হোস্টেজ স্কয়ারে জিম্মিদের অপেক্ষায় ইসরায়েলিরা। ছবি: এএফপি
তেল আবিবের হোস্টেজ স্কয়ারে জিম্মিদের অপেক্ষায় ইসরায়েলিরা। ছবি: এএফপি

এর আগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানান, সকল জীবিত জিম্মি ও মৃতদের মরদেহ হাতে না পাওয়া পর্যন্ত তিনি ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দেবেন না।

মুক্তি পেতে যাওয়া ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ২৫০ জনকে ইসরায়েলের নিরাপত্তা লঙ্ঘনের দায়ে আটক করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে অনেকের বিরুদ্ধে 'ইসরায়েলি নাগরিক' হত্যার অভিযোগ আছে।

পাশাপাশি, আরও এক হাজার ৭০০ জনকে গাজার যুদ্ধ চলাকালীন সময় ইসরায়েলি সেনা আটক করে।

হামাসের দাবি, অন্যান্যদের পাশাপাশি সাত শীর্ষ ফিলিস্তিনি নেতাকেও মুক্তি দিতে হবে। সর্বশেষ তথ্য মতে, এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে।

অপরদিকে, গাজা শান্তি সম্মেলনে যোগ দিতে মিশরের শার্ম এল-শেখ শহরে উদ্দেশে রওনা হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

তবে এরই মাঝে তিনি ইসরায়েলে যাত্রাবিরতি নিয়েছেন। সেখানে ইসরায়েলি পার্লামেন্ট নেসেটে তিনি বক্তব্য রাখবেন।

যুদ্ধ পরবর্তী পরিস্থিতিতে গাজার ভবিষ্যৎ ও টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠাসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে গাজা শান্তি সম্মেলনে বিশ্বনেতারা আলোচনা করবেন। এতে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস যোগ দেবেন বলে জানা গেছে।

তবে এতে ইসরায়েল বা হামাসের অংশগ্রহণ না থাকায় পুরো উদ্যোগটি প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।

 

Comments

The Daily Star  | English

EU’s GSP+: The lifeline Bangladesh must win before 2029

In four years, that duty-free facility will cease to exist

13h ago