ফিলিপাইনে আঘাত হেনেছে সুপার টাইফুন ফুং-ওয়াং, ২ জন নিহত
ফিলিপাইনের উত্তরাঞ্চলে আঘাত হেসেছে সুপার টাইফুন ফুং-ওয়াং। এতে অন্তত দুজন নিহত হওয়ার তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।
গতকাল রবিবার রাতভর তুফানটি তাণ্ডব চালায়। তার আগে ১০ লাখেরও বেশি মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
টাইফুনের তাণ্ডবে বেশ কিছু শহরের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তবে আজ সোমবার সকাল পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা যায়নি।
রবিবার রাতে সুপার টাইফুনটি পূর্বাঞ্চলের অরোরা প্রদেশের দিনালুংগান শহরে আঘাত হানে। এর প্রভাবে সারারাত ধরে লুজনের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রবল বাতাস, ভারি বৃষ্টি ও জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হয়।
"উওয়ান" নামে স্থানীয়ভাবে পরিচিত এই তুফানে ইসাবেলা প্রদেশের সান্তিয়াগো শহরে বহু ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বাতাসে গাছের ডালপালা ও বৈদ্যুতিক খুঁটিও উপড়ে পড়ে।
রোমিও মারিয়ানো নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, 'গতরাতে আমরা ঘুমোতে পারিনি। বাতাসে ঘরের চাল উড়ছিল, গাছের ডাল ভেঙে পড়ছিল। সকালে যখন ঘর থেকে বের হলাম, দেখি ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বাড়ির।'
দেশটির সিভিল ডিফেন্স দপ্তরের প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে, তুফানে অন্তত দুজন নিহত ও দুজন আহত হয়েছেন।
অরোরা প্রদেশের ভাইস গভর্নর প্যাট্রিক আলেক্সিস আংগারা জানান, কমপক্ষে তিনটি শহরের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। ভূমিধস ও রাস্তা ভেঙে পড়ায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
তিনি বলেন, 'ক্ষয়ক্ষতির মূল্যায়ন ও রাস্তা পরিষ্কারের কাজ চলছে।'
রাষ্ট্রীয় আবহাওয়া দপ্তর জানায়, ফুং-ওয়াং এখন দক্ষিণ চীন সাগরের ওপর দিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। এটি উত্তর-পূর্ব দিকে তাইওয়ানের দিকে ঘুরে যেতে পারে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
তবে দেশটির বড় অংশেই এখনো ভারি বৃষ্টি, প্রবল বাতাস ও উপকূলে জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা রয়েছে।
রবিবার রাত থেকে এখন পর্যন্ত ৪০০টিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ।
ফুং-ওয়াং ছিল এ বছর ফিলিপাইনে আঘাত হানা ২১তম ঝড়। এর ঠিক আগে টাইফুন কালমেগি আঘাত হেনেছিল। ওইসময় ফিলিপাইনে ২২৪ জন ও ভিয়েতনামে আরও ৫ জন মারা গিয়েছিল।


Comments