সীমান্ত অঞ্চলে পাকিস্তানি সেনার হাতে নিহত ২৩ জঙ্গি

পাকিস্তানি সেনা। ফাইল ছবি: রয়টার্স
পাকিস্তানি সেনা। ফাইল ছবি: রয়টার্স

পাকিস্তানের সেনাবাহিনী আফগানিস্তান সীমান্তে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে দুইটি সুনির্দিষ্ট অভিযান চালিয়েছে। এসব অভিযানে অন্তত ২৩ জঙ্গি নিহত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা এএফপি এই তথ্য জানিয়েছে।

এক সপ্তাহ আগে আত্মঘাতি বোমা হামলায় ইসলামাবাদে ১২ জন নিহত হয়।

সামরিক বাহিনীর বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, নিহত জঙ্গিরা পাকিস্তানি তালেবান ও সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সদস্য। বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়েছে, এসব গোষ্ঠীকে ভারত সমর্থন যোগায়।

খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের কুররাম জেলায় অভিযানগুলো চালানো হয়।

এ অঞ্চলটি আন্তঃসীমান্ত জঙ্গিবাদের 'আস্তানা' হিসেবে বিবেচিত। ২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালেবান গোষ্ঠী ক্ষমতা দখলের পর পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে।

সেনাবাহিনী আরও জানায়, 'বিদেশিদের অর্থায়ন ও সহায়তায় পরিচালিত জঙ্গিবাদের দৌরাত্ম দূর করতে পূর্ণোদ্দমে কাজ করে যাবে পাকিস্তান।'

দীর্ঘসময় ধরে ইসলামাবাদ দাবি করে এসেছে, কাবুল পাকিস্তান-বিরোধী জঙ্গি সংগঠনকে সহায়তা করে। বিশেষত, তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) কথা বরাবরই আলোচনায় এসেছে। ওই সংগঠনটি নিয়মিত পাকিস্তানের বিভিন্ন অংশে জঙ্গি হামলা চালায়। ইসলামাবাদের দাবি, এসব হামলার পরিকল্পনা আফগানিস্তান থেকে করা হয়।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের দিকেও একই ধরনের অভিযোগের তীর ছুঁড়েছে পাকিস্তান।

তবে কাবুল-নয়াদিল্লি উভয়ই এ ধরনের কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

আফগানিস্তানের সীমান্তে পাকিস্তানের ওয়াজিরিস্তানে নিয়মিত জঙ্গি হামলার খবর পাওয়া যায়। কোলাজ: এএফপি
আফগানিস্তানের সীমান্তে পাকিস্তানের ওয়াজিরিস্তানে নিয়মিত জঙ্গি হামলার খবর পাওয়া যায়। কোলাজ: এএফপি

গত সপ্তাহের আত্মঘাতি বোমা হামলায় ইসলামাবাদের একটি আদালতের সামনে ১২ জন নিহত ও অসংখ্য মানুষ আহত হন। পাকিস্তান বলছে, ওই হামলার পরিকল্পনা আফগানিস্তানে করা হয়েছে।

পাকিস্তানি তালেবানের একটি অংশ এই হামলার দায় নিয়েছে।

সাম্প্রতিককালে আফগান-পাক সম্পর্কে অবনতি হয়েছে।

দুই দেশের এক সপ্তাহব্যাপী সংঘাতে উভয় পক্ষ মিলে ৭০ জনেরও বেশি নিহত হয়। সংঘাতের অবসান হলেও এখনো এক দেশ থেকে অপর দেশে আসাযাওয়া বন্ধ আছে।

দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি দিয়েছে। তবে এই ভঙ্গুর বিরতিকে চূড়ান্ত রূপ দিতে দুই পক্ষ একাধিকবার বৈঠকে করলেও ফল আসেনি। একে অপরকে দায় দিচ্ছে কাবুল-ইসলামাবাদ।

বিশ্লেষকদের মতে, শিগগির যুদ্ধবিরতি শর্ত পূরণ না হলে আবারও সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে পারে দুই দেশ।

Comments

The Daily Star  | English
Number of International Observers Bangladesh election

Growing global focus on February 12 vote

The number of foreign observers preparing to monitor the February 12 polls has already exceeded those of the last three national elections

11h ago