এভারগ্রিন মেরিনের অভাবনীয় সাফল্য, বোনাস হিসেবে ৫০ মাসের বেতন পেলেন কর্মীরা

এভারগ্রিনের একটি মালামাল পরিবহনকারী জাহাজ। ছবি: এভারগ্রিনের ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া
এভারগ্রিনের একটি মালামাল পরিবহনকারী জাহাজ। ছবি: এভারগ্রিনের ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া

তাইওয়ানের এভারগ্রিন মেরিন কর্পের জন্য ২০২২ একটি ব্যবসাসফল ও উল্লেখযোগ্য বছর ছিল। যার ফলে প্রতিষ্ঠানের কিছু কর্মী অভাবনীয় বোনাস পেয়েছেন।

সোমবার ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা গেছে।

তাইপে ভিত্তিক শিপিং প্রতিষ্ঠানটি গড়ে প্রত্যেক কর্মীকে বোনাস হিসেবে ৫০ মাসের বেতন (৪ বছরেরও বেশি) দিয়েছে। এ বিষয় সম্পর্ক জানেন এরকম এক ব্যক্তি এ তথ্য দিয়েছেন। নাম না প্রকাশের শর্তে ঐ ব্যক্তি আরও জানান, কর্মীদের চাকরির গ্রেড ও বিভাগ অনুযায়ী বোনাসের পরিমাণ কম-বেশি হয়েছে। এই বড় আকারের বোনাস শুধু তাইওয়ান-ভিত্তিক কাজের জন্য চুক্তিবদ্ধ কর্মীরা পেয়েছেন।

শুক্রবার এভারগ্রিন মেরিন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠানের ব্যবসায়িক কার্যক্রম ও কর্মীদের ব্যক্তিগত কাজের গুণগত মান ও প্রভাবের ওপর ভিত্তি করে বার্ষিক বোনাস দেওয়া হয়। তারা এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে অস্বীকার করে।

গত ২ বছরে করোনাভাইরাসের কারণে নিত্যপণ্যের চাহিদা বড় আকারে বেড়ে যায়। সঙ্গে বাড়ে পণ্য পরিবহণের পরিমাণও। যার ফলে এভারগ্রিন মেরিন ২০২২ সালে ২০ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা করে, যেটি ২০২০ সালের তুলনায় ৩ গুণেরও বেশি।

২০২১ সালে সুয়েজ খালে এভারগ্রিন মেরিনের পরিচালিত একটি জাহাজ আটকা পড়লে প্রতিষ্ঠানটি পত্রিকার শিরোনামে আসে।

তাইপের ইকোনমিক ডেইলি নিউজ গত সপ্তাহে জানিয়েছে, এভারগ্রিনের কয়েকজন কর্মী ৫২ মাসের বেতনের সমান বোনাস পেয়েছেন। কেউ কেউ ৬৫ হাজার ডলারেরও বেশি অর্থ পেয়েছেন বলেও পত্রিকাটি দাবি করে।

তবে এভারগ্রিন মেরিনের সব কর্মী এতো সৌভাগ্যবান হতে পারেননি। চীনের সংবাদমাধ্যম কাইজিন স্থানীয় কর্মীদের বরাত দিয়ে জানায়, প্রতিষ্ঠানের সাংহাই ভিত্তিক কর্মীরা বোনাস হিসেবে মাত্র ৫ থেকে ৮ মাসের বেতন পেয়েছেন।

এ মুহূর্তে এভারগ্রিন মেরিনের কর্মীরা এই অপ্রত্যাশিত বোনাস পেয়ে খুশি থাকলেও বিভিন্ন শিপিং প্রতিষ্ঠান সতর্ক করেছে, বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি দ্রুত কমতে থাকা ও মালামাল পরিবহণের খরচ কমতে থাকায় এ বছরে লাভ কম হবে। ২০২১ সালে এভারগ্রিন মেরিনের শেয়ারের মূল্য ২৫০ শতাংশ বাড়লেও ২০২২ এ এটি কমে ৫৪% শতাংশ হয়।

 

Comments

The Daily Star  | English

'Shoot directly': Hasina’s order and deadly aftermath

Months-long investigation by The Daily Star indicates state forces increased deployment of lethal weapons after the ousted PM authorised their use

16h ago