৩০ ফুট খননের পরও উদ্ধার হয়নি শিশু সাজিদ

শিশু সাজিদকে উদ্ধারে অভিযান। ছবি: আজহারউদ্দীন/স্টার

রাজশাহীর তানোর উপজেলায় পরিত্যক্ত গভীর নলকূপের গর্তে পড়ে যাওয়া দুই বছরের শিশু সাজিদকে এখনো উদ্ধার করা যায়নি। গর্তটির পাশে ফায়ার সার্ভিস ৩০ ফিট আরেকটি গর্ত খনন করার পরও শিশুটিকে পাওয়া যায়নি।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে ফায়ার সার্ভিসের রাজশাহী বিভাগের উপপরিচালক মনজিল হক দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, 'এখন পর্যন্ত গর্তটির পাশে ৩০ ফুট আরেকটি গর্ত খনন করেছে উদ্ধারকারীরা। তবে শিশুটিকে এখনো পাওয়া যায়নি।'

তিনি আরও বলেন, 'ওই গর্তের ৮ থেকে ১০ ফুট দূরে একটি পুকুর আছে। তাই সেখানে সাবধানে খনন করা হচ্ছে, যেন পানি লিকেজ হতে না পারে।'

এর আগে গতকাল রাতে তানোর ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা আব্দুর রউফ ডেইলি স্টারকে বলেছিলেন, 'ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট শিশুটিকে উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। শিশুটিকে সুস্থ ও অক্ষত অবস্থায় উদ্ধারের সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। বিকেল ৫টা ৩০ মিনিট থেকে একটি এক্সক্যাভেটর গর্তের পাশেই সমান্তরাল আরেকটি পথ খুঁড়ছে এবং দুটি ট্র্যাক্টর মাটি সরাচ্ছে। শিশুটিকে বাঁচিয়ে রাখতে গর্তের ভেতরে নিয়মিত অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে।'

পুলিশ জানায়, দুপুরের দিকে মাটি বোঝাই একটি ট্রলি হঠাৎ সেখানে দেবে যায়। এ ঘটনা দেখতে রুনা খাতুন তার ছেলে সাজিদকে নিয়ে মাঠে যান। হাঁটার সময় সাজিদ হঠাৎ 'মা' বলে চিৎকার করে ওঠে। তখন পেছনে ফিরে রুনা খাতুন বুঝতে পারেন ছেলে গর্তে পড়ে গেছে। কিছুক্ষণ পর তিনি নিচ থেকে আস্তে আস্তে 'মা, মা' ডাক শুনতে পান।

রুনা খাতুন বলেন, 'গর্তটির মুখ খড় দিয়ে ঢাকা ছিল। আমরা কেউ ঢেকে রাখা গর্তটি দেখতে পাইনি।'

তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুজ্জামান বলেন, 'দুপুর ১টার দিকে দুই বছরের একটি শিশু খুবই সরু পরিত্যক্ত একটি গর্তে পড়ে যায়। উদ্ধার অভিযান চলছে। সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয়দের সহযোগিতায় খনন কাজ শুরু করে।'

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কোয়েলহাট গ্রামে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অনেক কমে গেছে। গ্রামের একজন বাসিন্দা পানির স্তর পরীক্ষা করতে গর্তটি করেছিলেন এবং পরে সেটি ভরাট করেন। কিন্তু বৃষ্টিতে মাটি বসে গিয়ে পুরনো গর্তটি আবার বের হয়ে আসে।

Comments