মিরপুরে ট্রাফিক বক্স ভাঙচুর-পুলিশের ওপর হামলায় গ্রেপ্তার ৩০

ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। ছবি: সংগৃহীত

মিরপুরে ট্রাফিক পুলিশ বক্স ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় ৩০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  

গতকাল শুক্রবার রাত থেকে আজ শনিবার পর্যন্ত মিরপুর পুলিশের বিভিন্ন দল তাদের গ্রেপ্তার করে।

এর মধ্যে মিরপুর থানা পুলিশ ১৩ জনকে, পল্লবী থানা পুলিশ ৮ জনকে এবং গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল ৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। মিরপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। 

আজ বিকেলে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, ট্রাফিক পুলিশ একজন প্রতিবন্ধী রিকশাচালককে মারধর করেছেন বলে অপপ্রচার চালিয়ে রিকশাচালকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে দেওয়া হয়। অবৈধ ব্যাটারিচালিত রিকশার মালিক, চালক ও মোটর ব্যাটারি ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা এ ঘটনায় ইন্ধন দেন।

ডিবি প্রধান বলেন, 'পুলিশকে লক্ষ্য করে এবং সরকারকে বিব্রত করতে এ হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছে।'

গতকাল রাজধানীর মিরপুর ও পল্লবী এলাকায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালকরা ৫টি ট্রাফিক পুলিশ বক্স ভাঙচুর করেন। এ সময় এক ট্রাফিক পুলিশ কনস্টেবল আহত হন। 

ট্রাফিক বিভাগের (পল্লবী জোন) সহকারী কমিশনার (এসি) ইলিয়াস হোসেন জানান, সকালে আদর্শ স্কুলের সামনে ট্রাফিক কনস্টেবল মিজানুর রহমান ২টি অবৈধ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা থামান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ২৫ থেকে ৩০ জন রিকশাচালক মিজানুরের ওপর হামলা চালান। এ সময় সেখানে থাকা অন্য আরেকজন ট্রাফিক পুলিশ পালিয়ে যান বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।

হামলায় মিজানুরের মুখমণ্ডল থেঁতলে যায়। পরে ২ পথচারী তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। তার মুখে ১৩টি সেলাই লেগেছে।

ঘটনার পর রিকশাচালকরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এরপর তারা জোট বেঁধে মিরপুর ১২, কালশী ও সাগুফতা এলাকাসহ কয়েকটি ট্রাফিক পুলিশ বক্সে হামলা চালান। পুলিশের একটি মোটরবাইকও ভাঙচুর করেন তারা।

এ ঘটনায় মিরপুর ও পল্লবী থানায় ২টি মামলা হয়েছে।

 

Comments

The Daily Star  | English

Ducsu polls: Security measures tightened at Dhaka University

Voting for the long-awaited Ducsu and hall union elections began this morning after a six-year pause

1h ago