টাঙ্গাইলে কর্মী হত্যা মামলায় এনজিওর ৫ কর্মকর্তা কারাগারে

টাঙ্গাইলে সেতু’র প্রধান কার্যালয়। ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইলে বেসরকারি সংস্থা 'সোশ্যাল অ্যাডভান্সমেন্ট থ্রু ইউনিটি-সেতু'র এক কর্মীকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় এনজিওর মালিকের ছেলেসহ পাঁচ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

টাঙ্গাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীর আহমেদ জানান, আজ শনিবার গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাতে এনজিওর কয়েকজন কর্মকর্তা থানায় এসে জানান, টাঙ্গাইল শহরের মেইন রোড এলাকায় সেতু'র অফিস ভবন থেকে ঝাঁপ দিয়ে তাদের এক কর্মচারী আত্মহত্যা করেছেন। টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মৃত ওই কর্মীর নাম মোহাম্মদ হাসান। তিনি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার পুঠিয়া গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে এবং সেতু'র জামালপুর সদর উপজেলার পিয়ারপুর শাখার হিসাব কর্মকর্তা ছিলেন।

হাসানের মা সুফিয়া খাতুন বাদী হয়ে শনিবার সন্ধ্যায় এনজিও মালিকের ছেলে মির্জা সাকিবসহ সংস্থাটির পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।

মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, গত ১৬ সেপ্টেম্বর এনজিও কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে হাসানকে জামালপুর থেকে টাঙ্গাইলে এনজিওর প্রধান কার্যালয়ে নিয়ে আসে। এর দুদিন পর ১৮ সেপ্টেম্বর এনজিও কর্তৃপক্ষ বিষয়টি হাসানের পরিবারকে জানায়। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা এনজিও অফিসে এলে তাদের সামনেই হাসানকে গালিগালাজ করেন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।

হাসানের পরিবারের সদস্যরা সংস্থাটির কর্মকর্তাদের আশ্বস্ত করে যে তারা দুদিনের মধ্যে টাকা জোগাড় করে অফিসকে বুঝিয়ে দেবে এবং সিরাজগঞ্জে ফিরে আসে। এনজিও কর্তৃপক্ষ গতকাল পরিবারের সঙ্গে পুনরায় যোগাযোগ করে এবং জানায় যে হাসান অসুস্থ।

আজ টাঙ্গাইল হাসপাতালে তার মরদেহ পায় পরিবারের সদস্যরা।

ওসি তানভীর আহমেদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গতকাল হাসানের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরই আমরা প্রাথমিক তদন্ত শুরু করি এবং কয়েকদিন ধরে তাকে অফিসে আটকে রাখার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ায় এনজিওটির মালিকের ছেলেসহ পাঁচ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাতেই থানায় নিয়ে আসি।'

তিনি বলেন, 'এ ঘটনায় মৃত হাসানের মা বাদী হয়ে আজ হত্যা মামলা করেছেন। মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আমরা ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছি।'

Comments