আবারও শাহজালালে বোমা হামলার হুমকি

shahjalal international airport
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর | ফাইল ছবি

একটি অচেনা হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকে আবারও বিমানে হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য জানান হয়রত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম।

এক বার্তায় তিনি জানান, এপিবিএন ডিউটি অফিসারের নম্বরে আমরা আরেকটি সম্ভাব্য হুমকি পেয়েছি অচেনা হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকে।

তিনি আরও জানান, প্রোটোকল অনুযায়ী সব সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করা হচ্ছে এবং বিমানবন্দরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিমানবন্দরের সব অপারেশন স্বাভাবিকভাবে চলছে।

এর আগে বুধবার পাকিস্তানি একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়। এয়ারপোর্ট এপিবিএনের ডিউটি অফিসারের নম্বরে হোয়াটসঅ্যাপে একটি পাকিস্তানি নম্বর থেকে বোমা হামলার হুমকির বার্তা আসে। ওই বার্তায় দাবি করা হয়, রোম থেকে ঢাকাগামী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজে উচ্চ মাত্রার ৩৪ কেজি বিস্ফোরক রয়েছে এবং হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বিস্ফোরণ ঘটানো হবে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (সিএএবি) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মনজুর কবির ভূঁইয়া জানান, বোমা হামলার হুমকির কারণে সকাল ৯টা ২০ মিনিটে বিমানের ফ্লাইটের জরুরি অবতরণ করা হয়, যেন ২৫০ জন যাত্রী ও ১৩ জন ক্রুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।

তিনি জানান, এপিবিএন পাকিস্তানি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরটিতে যোগাযোগ করেছে। এই হুমকিদাতা বলেছেন, তিনি বার্তাটি হুমকির জন্য নয়, সতর্কতা হিসেবে দিয়েছেন। পরবর্তীতে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি আরও কল ধরেননি।

তিনি আরও জানান, ফ্লাইট থেকে যাত্রীদের নিরাপদে নামানোর পর ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া ছাড়াই টার্মিনাল ভবনে রাখা হয়েছিল। উড়োজাহাজটিতে ব্যাপক অনুসন্ধানের পরও কোনো বিস্ফোরক বা সন্দেহজনক জিনিস পাওয়া যায়নি।

সিএএবি চেয়ারম্যান বলেন, 'প্রত্যেক যাত্রীর লাগেজ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে চেক করা হয়েছে। কোথাও বিস্ফোরকের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।'

যাত্রীদের ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে দুপুর দেড়টার দিকে তাদের লাগেজ ফেরত দেওয়া হয় বলে বিমান কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

Comments

The Daily Star  | English
Yunus, Charter, and Our Future

Yunus, Charter, and Our Future

Can the vision for 'New Bangladesh' ignore the poor, farmers, workers, youth, women, or employment and climate crises?

17h ago