তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে গ্রেপ্তার আরও ১

গ্রেপ্তার শামীন মাহফুজ। ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তান ভিত্তিক নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার শামীন মাহফুজ (৪৮) গাইবান্ধার কলেজপাড়া এলাকার বাসিন্দা বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের (মিডিয়া অ্যান্ড অ্যাওয়ার্নেস উইং) এসপি মাহফুজুল আলম রাসেল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে সাভার মডেল থানায় এটিইউর দায়ের করা একটি মামলায় র‌্যাব গতকাল সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ থেকে শামীনকে গ্রেপ্তার করে এবং সেদিনই তাকে এটিইউতে হস্তান্তর করে।'

পরে শামীনকে ঢাকার এক আদালতে হাজির করলে তার পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

এটিইউর এসপি মাহফুজুল আলম রাসেল বলেন, 'বর্তমানে তিনি আমাদের হেফাজতে আছেন।'

টিটিপির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশে এ পর্যন্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এর আগে, গত ২ জুলাই টিটিপির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ঢাকার সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকায় নিজ দোকান থেকে ফয়সাল নামে একজনকে আটক করে পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট।

পরদিন তাকে সিআরপিসি ৫৪ ধারায় ঢাকার এক আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠান।

ফয়সালকে আটকের পর গত ৫ জুলাই ফয়সালসহ ছয় যুবকের নাম উল্লেখ করে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে সাভার মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের ইন্টেলিজেন্স শাখার পরিদর্শক আব্দুল মান্নান।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন, আল ইমরান ওরফে ইঞ্জিনিয়ার ইমরান হায়দার, রেজাউল করিম আবরার, আসিফ আদনান, জাকারিয়া মাসুদ এবং মো. সানাফ হাসান।

টিটিপি-সম্পর্কিত তদন্তে কাজ করছেন পুলিশের বিশেষ শাখার এক কর্মকর্তা জানান, এই মামলায় শামীন মাহফুজকে আসামি করা না হলেও প্রাথমিক তদন্তে টিটিপির সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পেয়েছে পুলিশ।

মালয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যম নিউ স্ট্রেইটস টাইমস জানায়, গত মাসে 'জঙ্গি' নেটওয়ার্কের সঙ্গে যোগসূত্রের অভিযোগে ৩৬ বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করেছে সেদেশের পুলিশ।

 

Comments

The Daily Star  | English

Chief adviser likely to announce election date within 4-5 days: Mostafa Jamal

He made the remarks after a meeting between Prof Yunus and leaders of 12 political parties at the state guesthouse Jamuna

39m ago