জবি শিক্ষার্থী জোবায়েদ হত্যায় ৩ আসামি স্বীকারোক্তি দিতে রাজি: পুলিশ

মো. জোবায়েদ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসেন হত্যা মামলায় তিন আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হয়েছেন।

তারা হলেন—বার্জিস শাবনাম বর্ষা (১৯), তার বন্ধু মাহির রহমান (১৯) ও মাহিরের বন্ধু ফারদিন আহমেদ আইলান (২০)।

আজ মঙ্গলবার দুপুর ২টা ৪০ মিনিটের দিকে তাদের তিনজনকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে নেওয়া হয়।

আদালতে দায়িত্বরত এক উপপরিদর্শক (এসআই) দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, এই তিন আসামি স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দিতে রাজি হওয়ায় তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে তিনটি পৃথক আবেদন করেন। 

বর্ষা, মাহির ও আইলানকে আদালতে আনার পর হাজতে রাখা হয় বলে হাজতখানার ইনচার্জ মো. জাহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী জোবায়েদ হোসেন জবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন। গত এক বছর ধরে তিনি পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় বসবাস করতেন। ওই এলাকার নূরবক্স লেনের 'রৌশান ভিলায়' তিনি বর্ষাকে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও জীববিজ্ঞান পড়াতেন।

গত রোববার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ওই বাসার সিঁড়িতে জোবায়েদকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। 

এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার সকালে জোবায়েদের ভাই এনায়েত হোসেন সৈকত বংশাল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় বর্ষা, মাহির ও আইলানসহ অজ্ঞাত আরও ৪-৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশ জানায়, বর্ষা ও মাহির গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। ঘটনার দিন মাহিরের সঙ্গে তার আরও দুই বন্ধু ছিল। বর্ষার পরামর্শেই মাহির হত্যার সিদ্ধান্ত নেয় বলে জানায় পুলিশ।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে ডিএমপির ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার এস এম মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, 'ঘটনার দিন রোববার বিকেলে জোবায়েদ বর্ষার বাসায় পড়াতে যান। সে সময় বাসার নিচে অবস্থান করছিলেন মাহির ও তার বন্ধু ফারদিন আহমদ আইলান। তখন জোবায়েদের সঙ্গে তাদের বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে মাহির জোবায়েদের গলায় ছুরি চালান।' 

এ ঘটনায় পরিবারের কেউ জড়িত কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এখন পর্যন্ত পরিবারের সম্পৃক্ততার কোনো প্রমাণ মেলেনি। তবে আমরা তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছি।'

Comments

The Daily Star  | English

Khaleda Zia no more

She breathed her last at around 6am, shortly after Fajr prayer

1h ago