২৬ নাগরিকের বিবৃতি

‘জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি অশুভ শক্তির হাতকে আরও শক্তিশালী করবে’

জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি
ছবি: রয়টার্স ফাইল ফটো

জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি অশুভ শক্তির হাতকে আরও শক্তিশালী করবে। পাশাপাশি, জনজীবনে চরম বিপর্যয় ডেকে আনবে বলে ২৬ নাগরিকের বিবৃতিতে মন্তব্য করা হয়েছে।

গতকাল রোববার এক যৌথ বিবৃতিতে এ মন্তব্য করা হয়।

এতে বলা হয়, 'দীর্ঘ সময় থেকে বৈশ্বিক মহামারি করোনা বিপর্যয়ে এমনিতেই দেশে দেশে প্রাণহানি, উৎপাদন বন্ধ, বাণিজ্য, শিল্প, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিপর্যয়ে জনজীবনে দুর্ভোগ, হতাশা, সামাজিক অবক্ষয়, বেকারত্ব চরম আকার ধারণ করছে।'

'উপর্যুপরি ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ পরিস্থিতিতে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি মূল্য বৃদ্ধি, খাদ্য সংকটসহ নানান জটিলতার পরিস্থিতিতে দেশে দেশে অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের পাশাপাশি আমাদের দেশেও অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাবে মানুষ নানান সংকটে নিপীড়িত।'

'এই সংকটাপন্ন অবস্থায় জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির ন্যূনতম যৌক্তিকতা থাকলেও হঠাৎ করে পেট্টোল-ডিজেল, অকটেন, কেরোসিনের মূল বৃদ্ধির অযৌক্তিক ঘোষণা দেশে নৈরাজ্য ডেকে আনবে।'

'এর ফলে সকল প্রকার উৎপাদন, বণ্টন, পরিবহন ক্ষেত্রে নৈরাজ্য বৃদ্ধি পাবে। ফলশ্রুতিতে সকল প্রকার নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাবে, মানুষ আরও চরম বিপর্যয়ের মুখোমুখি হবে। সমাজে অশুভ শক্তির তৎপরতা বৃদ্ধি পাবে। দেশের অগ্রযাত্রা, স্থিতিশীলতা বিঘ্ন ঘটবে।'

এতে আরও বলা হয়, 'আমরা মনে করি, দাতা সংস্থার দ্বারস্থ হয়ে সরকার দাতা সংস্থার দেওয়া নির্দেশনাকে প্রাধান্য দিয়ে দেশকে মানবিক বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। অথচ ইতোমধ্যে জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য হ্রাস পেতে শুরু করেছে। এমতাবস্থায় সরকার ঘোষিত জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি প্রত্যাহার করে জাতীয় জীবনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনার দাবি জানাচ্ছি।'

বিবৃতিতে সই করেছেন

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এড. সুলতানা কামাল ও রাশেদা কে চৌধুরী, ঐক্য ন্যাপ সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য রামেন্দু মজুমদার, ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ডা. সারওয়ার আলী, সাম্প্রদায়িকতা জঙ্গিবাদ বিরোধী মঞ্চের সদস্য সচিব ড. নূর মোহাম্মদ তালুকদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এম, এম আকাশ, অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস ও ড. জোবায়দা নাসরিন, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফৌজিয়া মোসলেম, মানবাধিকারকর্মী খুশী কবীর এবং বাংলাদেশ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর।

এতে আরও সই করেছন—বাংলাদেশ কৃষক সমিতির সভাপতি এড. এম, এ সবুর, গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এড. জাহিদুল বারী, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক সালেহ আহমেদ, সমাজ গবেষক ড. সেলু বাসিত, উঠান'র সভাপতি অলক দাশ গুপ্ত, বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী এড. পারভেজ হাসেম, আনন্দন'র প্রধান সংগঠক এ কে আজাদ, জাতীয় শ্রমিক জোট সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল আমিন, ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন বাংলাদেশ (ইনসাব)'র সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুর রাজ্জাক, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের তথ্য ও প্রচার সম্পাদক দীপায়ন খীসা, গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক এড. জীবনানন্দ জয়ন্ত এবং বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি আবদুল মোতালেব জুয়েল।

Comments

The Daily Star  | English
US wants Bangladesh trade plan,

Reducing US trade GAP: Dhaka turns to Boeing, wheat imports

Bangladeshi officials are preparing for a third round of talks in Washington next week

11h ago