বিশ্ব ইজতেমায় ট্যুরিস্ট পুলিশের দেশীয় পর্যটনের প্রচারণা

বিশ্ব ইজতেমায় ট্যুরিস্ট পুলিশের প্রচারণা। ছবি: সংগৃহীত

তাবলিগ জামাতের শীর্ষ সম্মিলন বিশ্ব ইজতেমায় আসা বিদেশি মুসল্লিদের বাংলাদেশের বিভিন্ন ধর্মীয় স্থানসহ দেশীয় পর্যটনের প্রতি আগ্রহী করে তুলতে বিশেষ প্রচারণা চালিয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।

এবারই প্রথম ট্যুরিস্ট পুলিশকে বিশ্ব ইজতেমায় আসা বিদেশি মেহমানদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত করা হয়।

পর্যটন শিল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হয় রিলিজিয়াস ট্যুরিজমকে (ধর্মীয় পর্যটন)। এটাকে বিশেষ আগ্রহের পর্যটনও বলা হয়, যা সাধারণত নির্দিষ্ট ধর্মীয় বিশ্বাসের অনুসারীদের সঙ্গে সম্পর্কিত। এই পর্যটকরা সাধারণত পবিত্র স্থান হিসাবে বিবেচিত জায়গাগুলো পরিদর্শন করেন।

করোনা মহামারির কারণে মাঝে ২ বছর বিরতি দিয়ে এবার ঢাকার টঙ্গীতে প্রথম পর্বের বিশ্ব ইজতেমায় ৬৮টি দেশের প্রায় ৫ হাজার ৫২৬ জন বিদেশি ধর্মপ্রাণ মুসলমান অংশ নেন। আর দ্বিতীয় পর্বে অংশ নেন ৬৪টি দেশের ৮ হাজার ৬০০ জন বিদেশি মুসল্লি। ইজতেমা মাঠে তাদের সার্বিক নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন চাহিদা সমন্বয়ের কাজ করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ ।

আজ রোববার এ সংক্রান্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত আইজি হাবিবুর রহমান জানান, ইজতেমায় বাংলাদেশের রিলিজিয়াস ট্যুরিজমের প্রচারের জন্য সার্বিক সহযোগিতা করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ । এছাড়াও পুলিশের  অন্যান্য ইউনিটের সাথে সমন্বয় করে বিদেশি মুসল্লিদের সার্বিক নিরাপত্তা ও বিভিন্ন তথ্য দিয়ে সেবা দেওয়া হয়েছে। বিদেশি মেহমানদের পাসপোর্ট হারানো, মোবাইল হারানো, সিম কার্ড প্রাপ্তি এবং চিকিৎসা সেবায় সহায়তা করা হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইজতেমা শেষে বিদেশি মেহমানরা বাংলাদেশের কোথাও চিল্লায় যেতে চাইলে বা বাংলাদেশের কোন ধর্মীয় ঐতিহাসিক স্থান ভ্রমন করতে চাইলে ট্যুরিস্ট পুলিশ সংশ্লিষ্ট জেলা পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা নিয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, বিদেশি মুসল্লিরা যাতে ট্যুরিস্ট পুলিশের সহায়তা পেতে পারে সে জন্য তাদের ট্যুরিস্ট পুলিশের হটলাইন নম্বর (০১৩২০-২২২২২২, ০১৮৮৭-৮৭৮৭৮৭) সম্বলিত কার্ড সরবরাহের পাশাপাশি তাদের বাংলাদেশের ইসলামিক স্থাপনা ও হেরিটেজ সংক্রান্ত তথ্য প্রদান করা হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

From 2019 to 2025: How Ducsu election shows change

With this Ducsu poll being the first since the July uprising, I decided to witness history with my own eyes -- this time as a journalist and alumnus

11m ago