‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের’ অভিযোগে শিক্ষকের বাড়িতে হামলা, এইচআরএফবির উদ্বেগ

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষককে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ এনে তার বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশ (এইচআরএফবি)। 

আজ রোববার এক বিবৃতিতে এইচআরএফবি ওই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও শিক্ষকের পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানায়।

বিবৃতি বলা হয়, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়ার কুমারখালীর গ্রামের বাড়ি থেকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে করা মামলায় কয়া চাইল্ড হ্যাভেন বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু সালেহকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন ওই শিক্ষকের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে তার বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। শিক্ষকের পরিবার জানায়, স্কুলে মহিলা জামায়াতের মাহফিল করতে একটি গোষ্ঠী চাপ দিচ্ছিল, তিনি এতে রাজি না হওয়ায় ষড়যন্ত্রমূলকভাবে স্পর্শকাতর বিষয়ে মামলা দেওয়া হয়েছে। 

এইচআরএফবি মনে করে, এ ঘটনা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সাম্প্রদায়িকতা বিকাশের ঘাঁটি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার বিশাল চক্রান্তের অংশ। একই সাথে এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনাও নয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, বিগত বেশ কিছুদিন ধরে দেশের বিভিন্ন বিদ্যাপীঠের শিক্ষকদের সাথে প্রায় একই ধরনের হয়রানিমূলক আচরণ পরিলক্ষিত হচ্ছে যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। 

ফোরাম মনে করে, 'এসব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়া নিশ্চিত না হওয়ায় এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ও অগ্রহণযোগ্য ঘটনাগুলোর পুনরাবৃত্তি ঘটছে। যারা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের নামে উসকানি প্রদান করছেন, নানাভাবে হেনস্তা করছেন, এবং ধর্মভিত্তিক রাজনীতি ও সাম্প্রদায়িকতার বিকাশের অপচেষ্টায় লিপ্ত-তারা ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছেন, এমনকি বিভিন্নভাবে সুরক্ষা ও প্রশ্রয় পাচ্ছেন।  একজন শিক্ষকের প্রতি এমন আচরণ যেমন অত্যন্ত দুঃখজনক ও অপ্রত্যাশিত,  তেমনি দেশে ক্রমবর্ধমানহারে ধর্মান্ধতা সাম্প্রদায়িকতা বিস্তারের গভীরতর ষড়যন্ত্রের অশুভ দৃষ্টান্ত।'

Comments

The Daily Star  | English

Nineteen killed in Nepal in 'Gen Z' protest over social media ban

Police used live ammunition, tear gas, and water cannons against protesters demonstrating against social media restrictions and corruption

4h ago