পঞ্চগড়ে সালানা জলসায় হামলায় বিএনপি-জামায়াত জড়িত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

আসাদুজ্জামান খান। স্টার ফাইল ফটো

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানিয়েছেন, কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিস্ফোরণের কারণ খতিয়ে দেখছে সরকার।

তিনি বলেছেন, 'উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা শিবিরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কোনো নাশকতা ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছে সরকার।'

আজ সোমবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে, ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, 'দেখুন এটি কোনো নাশকতা কি না, ষড়যন্ত্র কি না, সেটি আমরা দেখছি। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তারা সিলিন্ডারে রান্নাবান্না করেন। সেখানে পাশেই আমাদের ৭টি ফায়ার সার্ভিস ইউনিট আছে। অস্থায়ী ক্যাম্পগুলোতে আগুন লাগলে নিমিষেই শেষ হয়ে যায়। ঘটনাটি সেরকমই ঘটেছে।

তিনি আরও বলেন, 'তবে কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা আমরা তদন্ত করছি। তাতে যদি কোনো নাশকতা, ষড়যন্ত্র কিংবা অন্য ধরনের কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়, সেগুলো আমরা দেখব। সে নিয়ে আমরা কাজ করছি। যারা গৃহহারা হয়েছেন, তাদের জন্য আপাতত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আমরা ভাসানচরে বিশাল একটি ব্যবস্থা রেখেছি, যারা স্বেচ্ছায় যেতে চান, তাদের সেখানে নিয়ে যাচ্ছি।'

পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের সালানা জলসায় হামলা নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'আহমদনগর এলাকায় কয়েক হাজার কাদিয়ানি ও আহমদিয়া সম্প্রদায়ের বসবাস। প্রতিবারই তারা দুদিনব্যাপী একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান করে। এবারও সেই অনুষ্ঠান করতে যাওয়ায় তাদের ওপর জামায়াতে ইসলামীর অ্যাকটিভিস্ট ও বিএনপি নেতারা একসঙ্গে জড়িত হয়ে তাদের বাধা দেয়। একপর্যায়ে তাদের ঘরবাড়িতে আগুন ধরায়। যেখানে অনুষ্ঠান হচ্ছিল, সেখানেও আগুন ধরায়।'

তিনি বলেন, 'এতে একজন কাদিয়ানি সদস্য মারা যায়। মারামারি করতে গিয়ে একজন জামায়াতের সদস্যও আহত হয়ে মারা যায়। এ নিয়ে ৭টি মামলা হয়েছে। ৮১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে বিএনপি নেতা ফজলে রাব্বি আছেন। তিনি স্বীকারোক্তি দিয়েছেন যে, সমাবেশটি বন্ধ করতে আসছিলেন। ঘটনাগুলোর নেপথ্যে তিনিও নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।'

তিনি আরও বলেন, 'সেখানে র‌্যাবের এক সদস্যও আহত হয়েছেন। তার মাথায় বেশ কয়েকটি সেলাই দিতে হয়েছে। র‌্যাবের একটি গাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে। আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী চরম ধৈর্যের সঙ্গে সেটি মোকাবিলা করেছে। সেখানকার পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক আছে। যারাই মামলা দিচ্ছে, মামলা নেওয়া হচ্ছে।'

এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, 'এবার তারা এতোটা মারমুখী কেন হয়েছিল, আমরা তা তদন্ত করে দেখছি। পুলিশের কোনো ব্যর্থতা আছে কি না, সেটাও আমরা দেখছি। আমাদের কোনো ব্যর্থতা থাকলে আমরা দেখছি, সেটি নিয়ে এরইমধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কোনো গাফিলতি থাকলে আমরা অবশ্যই দেখব, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।'

Comments

The Daily Star  | English

July charter implementation: Commission races against time to find out ways

Consensus Commission has yet to find a viable mechanism to ensure that the proposed constitutional reforms under the July charter will be implemented

9h ago