কক্সবাজারে ঈদগাঁও থানার ওসির প্রত্যাহার দাবিতে মানববন্ধন

ছবি: সংগৃহীত

ক্ষমতার অপব্যবহারসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে কক্সবাজার জেলার ঈদগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত  কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম কবিরের প্রত্যাহার ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ঈদগাঁও বাস স্টেশনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

মানববন্ধনের পর প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন ঈদগাঁও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান রাশেদ, কক্সবাজার জেলা যুবলীগ নেতা হুমায়ুন কবির চৌধুরী হিমু, সদর উপজেলা যুবলীগ নেতা মিজানুল হক ও মিথ্যা মামলায় নির্যাতিত নারী ফরিদা ইয়াসমিন।

কর্মসূচিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, সামাজিক সংগঠনের নেতাসহ হাজারো মানুষ অংশ নেন৷

প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন,  সম্প্রতি ওসির দুটি বিতর্কিত ঘটনা দেশব্যাপী আলোচিত হয়েছে। গত ২০ মার্চ জালালাবাদে স্বামীকে না পেয়ে দুই শিশু সন্তানসহ এক নারীকে থানায় দীর্ঘ সময় আটক রেখে পরে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠান ওসি।  পরদিন দুই শিশু সন্তানসহ গ্রেপ্তার ফরিদা ইয়াসমিন জামিনে মুক্তি পান। অন্যদিকে ২১ মার্চ রাতে সাদা পোশাকের ৭ পুলিশ সদস্য ঈদগাঁও বাজারে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজির সময় পথচারী এক এসএসসি পরীক্ষার্থী প্রতিবাদ করলে পুলিশ দলবদ্ধ হয়ে ওই স্কুল ছাত্রের ওপর হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে।

এ দুটি ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া হয় বলে জানান তারা।

আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওসির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা এবং তাকে প্রত্যাহার করা না হলে আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে বলে জানান বক্তারা। 

অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে ঈদগাঁও থানার ওসি গোলাম কবিরের মোবাইলে কয়েকবার কল করেও যোগাযোগ করা যায়নি।

জানতে চাইলে কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ওসিকে কেন্দ্র করে আজ যে মানববন্ধন হয়েছে সেই বিষয়টি আমরা অবগত। এখনও পর্যন্ত কেউ ঈদগাঁও থানার ওসির বিরুদ্ধে জেলা পুলিশকে অভিযোগ করেনি। তারপরও বিষয়টির ব্যাপারে আমরা খোঁজ খবর নিচ্ছি।

Comments

The Daily Star  | English

New public service ordinance: Govt mulls softening strict provisions

Say high-level meeting sources; Secretariat employees suspend protests for today

10h ago