নৌপথে রাজশাহী থেকে মুর্শিদাবাদ

নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী সকালে রজশাহীর সুলতানগঞ্জ নৌবন্দর উদ্বোধন করেন। ছবি: স্টার

বাংলাদেশ ও ভারতের নৌ প্রটোকলের আওতায় চালু হলো বহুল কাঙ্ক্ষিত রাজশাহীর গোদাগাড়ীর সুলতানগঞ্জ পোর্ট অব কল এবং সুলতানগঞ্জ-মায়া নৌপথে পণ্যবাহী নৌযান চলাচল।

আজ সোমবার বেলা ১১টায় সুলতানগঞ্জ নৌবন্দর এবং ভারতের মুর্শিদাবাদের মায়া নৌবন্দর পর্যন্ত পণ্যবাহী নৌযান চলাচলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

এমসয় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাসহ জনপ্রতিনিধি ও ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এরপর সাড়ে ১১ মেট্রিক টন গার্মেন্টস ঝুট কাপড় নিয়ে ভারতের মায়া বন্দরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে এমবি সাইফ সিয়াম শাফিন।

বিআইডব্লিউটিএর পরিচালক ড. রফিকুল ইসলাম জানান, বেলা ১১ টায় সুলতানগঞ্জ নৌ বন্দরের উদ্বোধনের পর দুপুর ১২টায় ভারতের মুর্শিদাবাদের মায়া নৌবন্দর থেকে দেশবাংলা নামে একটি নৌযান ১০০ মেট্রিক টন পাথর নিয়ে সুলতানগঞ্জের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।

দীর্ঘ ৫৯ বছর পর নৌবন্দরটি চালু হলো। এর আগে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত হযরত সুলতান শাহের মাজারের পাশে এই নদী বন্দর চালু ছিল।

বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ জানায় এই নদী পথে বাংলাদেশ ভারতের আমদানি রপ্তানি বাড়ার পাশাপাশি সময় ও খরচ কমবে।

তারা বলেন, দেশের পাথর আমদানি ব্যয় অন্তত ৩ দশমিক ৫০ কোটি মার্কিন ডলার কমানোর প্রধান লক্ষ্য নিয়ে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় সুলতানগঞ্জ নদীবন্দর চালু হচ্ছে।

তারা যুক্তি দিয়েছেন, ভারতীয় মায়া নদীবন্দর থেকে সুলতানগঞ্জ নদীবন্দরটি মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে, যা ভারতের পাকুড়, ঝাড়খণ্ড, নলহাটি, রাজগ্রাম এবং পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য পাথরের সবচেয়ে বড় উত্সের কাছাকাছি।

বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভিয়েতনাম, ওমান, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া এবং ভারত থেকে পাথর আমদানিতে ২০ ডলার এবং ভারত থেকে অল্পকিছু স্থলবন্দর দিয়ে ১৩ ডলারের মধ্যে ব্যয় হচ্ছে। সুলতানগঞ্জ-মায়া নদীপথে পাথর পরিবহন খরচ প্রতি মেট্রিক টন ১০ মার্কিন ডলারের বেশি হবে না।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের একটি তথ্য দেখায় যে, গত বছরের ১ মার্চ থেকে ১০ মে পর্যন্ত আড়াই মাসে চট্টগ্রাম এবং অন্যান্য সমুদ্র বন্দর দিয়ে ৬ কোটি ৯১ লাখ ৭ হাজার ৬৬৩ ডলার মূল্যের ৩৪ লাখ ৯৯ হাজার ৩৮২ মেট্রিক টন পাথর আমদানি হয়েছে।

বিআইডব্লিউটিএ কর্মকর্তারা বলেন, সুলতানগঞ্জ-মায়া রুটে আমদানির সময় স্থানীয় মুদ্রা ব্যবহার করায় ব্যয় আরও কমে যাবে। নদীবন্দরটি স্থানীয় শতাধিক লোকের কর্মসংস্থানও করবে।

তারা আরও বলেন, নির্মাণ ব্যয়ও হ্রাস পাবে কারণ আমদানি করা পাথরের বেশিরভাগই অবকাঠামোগত উন্নয়নে ব্যবহৃত হয়।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বারের সভাপতি মো. আব্দুল ওয়াহেদ জানান, পুনরায় নৌবন্দরটি চালু হলো। এ নৌ বন্দর চালুর ফলে ভারত থেকে পাথর আমদানি সহজ হবে। আমাদের দূরত্ব কমবে প্রায় ১২০ কিলোমিটার। এছাড়া খাদ্যপণ্য আমদানি ও রপ্তানি করা সহজ হবে।

Comments

The Daily Star  | English

Tug-of-war over water lily continues

The Election Commission and National Citizen Party remain locked in a heated debate over the party’s choice of electoral symbol, the water lily -- a dispute that began in June.

4h ago