মিয়ানমার-টেকনাফ সীমান্তে আবারও বিস্ফোরণ-গুলির শব্দ

মিয়ানমার-টেকনাফ সীমান্তে আবারও বিস্ফোরণ-গুলির শব্দ
স্টার ফাইল ফটো | ছবি: নাইমুর রহমান/স্টার

এক সপ্তাহ শান্ত থাকার পর নাফ নদীর ওপারে ফের গুলি ও মর্টার শেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, হোয়াইক্যং ইউনিয়নের খারানখালী, নয়া বাজার, মিনা বাজার, কানজোর পাড়া, জিম্মখালী, উনচিপ্রাং ও লম্বাবিল এলাকায় আজ সোমবার ভোররাত ৩টা পর্যন্ত বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে গুলির শব্দ শোনা গেছে।

হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য কবির আহমেদ বলেন, 'সীমান্ত থেকে অনেক দূরে আমার বাড়ি থেকে গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছিল।'

তিনি বলেন, 'চলমান এই সংঘর্ষ সীমান্তবর্তী মানুষের দৈনন্দিন কার্যক্রম ব্যাহত করছে। বারবার বিস্ফোরণে প্রাণের ভয়ে কৃষক ও মৎস্যজীবীদের মাঠে কাজ করতে হচ্ছে।'

এর আগে বিজিবির টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় সীমান্তে অনুপ্রবেশসহ যে কোনো ধরনের নিরাপত্তা হুমকি মোকাবিলায় বিজিবি সদস্যরা প্রস্তুত রয়েছে।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির শুরুতে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের সংঘর্ষ শুরু হয়।

এর পরে ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রত্যাবাসনের আগে মিয়ানমার সরকারের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সেনা; প্রধানত মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।

নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে টেকনাফ সীমান্ত পর্যন্ত সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার পরে পরিস্থিতি এখনো অস্থিতিশীল। সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে অনেক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বাস করে।

মিয়ানমার জান্তা ও আরাকান আর্মির মধ্যে চলমান সংঘর্ষে সীমান্তের এ পারেও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।

গত ৫ ফেব্রুয়ারি বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নে মিয়ানমার সীমান্তের ওপার থেকে ছোড়া মর্টার শেল বিস্ফোরণে এক বাংলাদেশি নারী ও এক রোহিঙ্গা পুরুষ নিহত হন।

Comments

The Daily Star  | English

Victory day today: A nation born out of blood and grit

The tide of war had turned by mid-December in 1971. The promise of freedom was no longer a dream. It had hardened into tangible certainty.

7h ago