পটুয়াখালীতে টানা ভারী বর্ষণ, সাগর উত্তাল

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে পটুয়াখালীতে গত তিন দিন ধরে হালকা বৃষ্টিপাত হলেও গতকাল সন্ধ্যা থেকে শুরু হয়েছে মুষলধারে বর্ষণ।
পটুয়াখালী আবহাওয়া অফিস আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে। টানা বর্ষণের ফলে জেলার বিভিন্ন নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে, কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর উত্তাল হয়ে উঠেছে। বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়ছে সৈকতে। নদ-নদীর পানিও বৃদ্ধি পেয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় পটুয়াখালীর পায়রাসহ দেশের সব সমুদ্রবন্দরকে তিনি নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। মাছ ধরার ট্রলারগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, বিষখালী নদীর পানি বরগুনা সদর উপজেলা পয়েন্টে ৩ সেন্টিমিটার, পাথরঘাটা উপজেলা পয়েন্টে ১৭ সেন্টিমিটার এবং বেতাগী উপজেলা পয়েন্টে ১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সুস্পষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে আজ সারাদিন বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। আগামীকালও থেমে থেমে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে, পরশু থেকে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমতে পারে।
আজ সকালে আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'নিম্নচাপটি স্থলভাগের খুব কাছাকাছি থাকায় এর ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা কম। এটি এখন স্থলভাগে বৃষ্টি ঝরিয়ে গুরুত্বহীন হয়ে পড়বে।'
নিম্নচাপের প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্র বন্দরের ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। দুর্ঘটনা এড়াতে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, পায়রা ও মোংলা সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
একইসঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
Comments