অচেনা রূপে চেনা ঢাকা

ঈদের ছুটিতে রাজধানীতে নেই চিরচেনা কর্মব্যস্ততা। ছবি: প্রবীর দাশ/স্টার

ঈদের লম্বা ছুটিতে চেনা ঢাকা যেন অচেনা রূপে সেজেছে। সড়কে নেই কোনো ব্যস্ততা, যানজট। নেই গাড়ির হর্নের শব্দ। নেই পথচারী কিংবা অফিসগামীদের হুড়োহুড়ি। কোলাহলের শহরে নেমেছে নীরবতা। আর তাতে ঢাকার বাসিন্দারা পেয়েছেন এক চিলতে স্বস্তির খোঁজ।

এবার ঈদে দশ দিনের ছুটি পেয়েছেন চাকরিজীবীরা। এই লম্বা ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে ঢাকা ছেড়েছেন লাখো মানুষ। তারা শহর ছাড়ায় কর্মব্যস্ত রাজধানী এখন অবকাশ যাপন করছে। ভোরের প্রথম আলো ফুটতেই যে রাস্তাগুলো যানজটে পড়ত, সেগুলো এখন ভীষণ ফাঁকা। কোথাও যানবাহন ও মানুষের ভিড় নেই।

ঈদের দিন শনিবার সকালে নগরীর কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ঘুরে এমন ঢাকাকেই দেখা গেছে। কয়েকজনের সঙ্গে কথা বললে, তারা মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানান।

এক যাত্রী বলেন, ঢাকার ট্রাফিক যদি সব সময় এমন কম থাকত, তাহলে এই শহরের জীবনযাত্রা আনন্দের হতো।

কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, শাহবাগ, মৎস্য ভবন, পল্টন, যাত্রাবাড়ী, মতিঝিলের মতো এলাকায় সকালে যানবাহনের সংখ্যা ছিল একেবারেই কম। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাতেগোনা কয়েকটি যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে ব্যাটারিচালিত রিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা সড়কে বেশি দেখা গেছে।

কোনো কোনো বাসের কর্মীদের ঈদের বখশিসের কথা বলে বাড়তি ভাড়া নিতে দেখা গেছে।

মতিঝিল থেকে কল্যাণপুরগামী একটি বাসের যাত্রী জামাল হোসেন বলেন, 'বাস পেতে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়েছে। রাস্তাঘাট একেবারেই ফাঁকা। বাস পাওয়া যাচ্ছে না। আবার যাত্রীও খুব কম।'

বাড়তি ভাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'তারা আমাদের জোর করেনি, ঈদ বোনাস হিসেবে বাড়তি ১০ টাকা চেয়েছে। ঈদের খুশিতো সবার জন্য। তাই খুশি হয়ে দিলাম।'

ওই বাসের হেল্পার রাসেল বলেন, 'আমরা ঈদের নামাজ আদায় করে বের হই। রাস্তায় যাত্রী নেই বললেই চলে। সবাই এখন ব্যস্ত পশু কোরবানি নিয়ে। সন্ধ্যার দিকে যাত্রী সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।'

Comments

The Daily Star  | English

CA pays homage to Liberation War martyrs on Victory Day

The nation is celebrating the Victory Day with elaborate programmes paying homage to the martyrs who made supreme sacrifice in 1971

39m ago