ঢামেকে একই নারীর ৬ সন্তান জন্মদানের আনন্দ ম্লান করে ১ নবজাতকের চিরবিদায়

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ছয় সন্তানের জন্ম দিয়েছেন এক ২৩ বছর বয়সী নারী। তবে ইতোমধ্যে এক নবজাতকের মৃত্যু ওই আনন্দের ঘটনাকে শোকাচ্ছন্ন করে তুলেছে।
হাসপাতালের সূত্ররা জানান, মোকসেদা আক্তার প্রিয়া নামের ওই নারী নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলার বাসিন্দা। আজ সকাল ৯টার দিকে ঢামেকের ২১২ নম্বর ওয়ার্ডে তিনটি ছেলে ও তিনটি মেয়ে প্রসব করেন ওই নারী।
প্রিয়ার ননাশ ফারজানা আখতার জানান, ঢামেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় একটি শিশু মারা গেছে।
এর আগে, ওজন কম হওয়ায় তিনটি শিশুকে ঢামেকে এবং অপর তিনটিকে বেসরকারি হাসপাতালের এনআইসিইউতে (নবজাতকের জন্য নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র বা আইসিইউ) রাখা হয়েছিল।
ফারজানা গণমাধ্যমকে বলেন, 'প্রিয়ার স্বামী মো. হানিফ একজন প্রবাসী কর্মী। তিনি কাতারে থাকেন। প্রিয়া ২৭ সপ্তাহের গর্ভবতী ছিলেন। নোয়াখালীতে আলট্রা সাউন্ড করার পর জানানো হয়েছিল, তার গর্ভে পাঁচটি সন্তান আছে।'
তিনি আরও জানান, 'গত ৯ সেপ্টেম্বর প্রিয়া চিকিৎসার জন্য নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে তার বাসায় আসেন। প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসা হয়। শনিবার রাতে ব্যথা শুরু হলে দ্রুত তাকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর আজ রোববার সকালে তিনি ছয় শিশুর জন্ম দেন।'
ঢাকা মেডিকেলের নবজাতক বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. নিলুফার ইয়াসমিন জানান, সকালে এক মা স্বাভাবিকভাবে ছয় নবজাতকের জন্ম দিয়েছেন। বাচ্চাগুলোর অপরিপক্ব ছিল। তাদের ওজন ছিল ৬১৫ গ্রাম থেকে ৯০০ গ্রামের মধ্যে।'
তিনি বলেন, 'আমাদের এনআইসিইউতে তিনটি বেড খালি থাকায় সেখানে তিন নবজাতককে রাখা সম্ভব হয়েছে। এখানে বেড খালি হলে বাইরের হাসপাতালে যে নবজাতকদের নিয়ে রাখা হয়েছে তাদেরকেও এখানে নিয়ে আসা হবে।'
'তাদের মধ্যে দুই নবজাতের অবস্থা আশঙ্কাজনক', যোগ করেন তিনি।
এ বিষয়ে বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে ঢামেক হাসপাতালের গাইনি বিভাগের এক নম্বর ইউনিটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. আবিদা সুলতানা বলেন, 'গতরাতে আমাদের এখানে প্রিয়া নামের এক গর্ভবতী নারী ভর্তি হন। পরে আজ সকালে তিনি ছয়টি সন্তানের জন্ম দেন।'
'তবে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় ওদেরকে "বেবি" বলা যায় না, এটি আসলে ২৭ সপ্তাহের ইনএবিটেবল অ্যাবরশনের ঘটনা', যোগ করেন তিনি।
Comments