দুর্গাপূজা ঘিরে সামাজিকমাধ্যমে গুজব ঠেকাতে মনিটরিং করা হচ্ছে: র্যাব ডিজি

আসন্ন দুর্গাপূজা উৎসবকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি একেএম শহিদুর রহমান।
তিনি বলেছেন, 'এসব অপতৎপরতা ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এবং সোশ্যাল মিডিয়া সার্বক্ষণিকভাবে মনিটর করা হচ্ছে।'
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রংপুর নগরীতে পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
র্যাব ডিজি বলেন, 'দুর্গাপূজাকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা চলছে। আমরা বিষয়টি বুঝতে পারছি এবং এ বিষয়ে আমাদের আইসিটি বিভাগসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক রয়েছে। আমরা সার্বক্ষণিক সোশ্যাল মিডিয়া মনিটর করছি।'
র্যাব মহাপরিচালক আরও বলেন, 'সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পূজা নিয়ে কোনো তথ্য পেলে জনগণকে অনুরোধ করব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানাতে। আমরা তাৎক্ষণিক তথ্য যাচাই করব। সত্য প্রমাণিত হলে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
'আর কেউ গুজব ছড়ালে তার বিরুদ্ধেও কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা সবাই মিলে সতর্ক থাকলে দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হবে,' বলেন তিনি।
একেএম শহিদুর রহমান বলেন, 'বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির চর্চা বহু পুরোনো। দল-মত, বর্ণ-ধর্ম নির্বিশেষে সবাই একসঙ্গে দুর্গোৎসব উদযাপন করি। এই অসাম্প্রদায়িক পরিবেশ বজায় রাখতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ইতিমধ্যে দেশের ৮-১০টি স্থানে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটেছে, প্রতিটি ক্ষেত্রেই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।'
তিনি জানান, এ বছর সারাদেশে ৩১ হাজার ৫৪৬টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। বুধবার থেকে প্রতিটি পূজামণ্ডপে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হবে।
এসব আয়োজনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি প্রতিটি পূজা উদযাপন কমিটিকে নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক দল গঠন করার আহ্বান জানান তিনি।
'দুই পক্ষ যৌথ দায়িত্ব পালন করলে কোনো বিশৃঙ্খলা হবে না,' যোগ করেন তিনি।
র্যাব ডিজি আরও বলেন, 'দেশে কিছু অসুস্থ মানসিকতার লোক আছে, যারা সুযোগ পেলেই বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করে। আমরা সবাই সতর্ক থাকলে এবং মণ্ডপগুলোতে সার্বক্ষণিক পাহারা ও বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করলে সুন্দরভাবে পূজা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।'
সীমান্তবর্তী এলাকার পূজামণ্ডপগুলোতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) নিরাপত্তা দিচ্ছে এবং অল্প কিছু ঝুঁকিপূর্ণ মণ্ডপে ঝুঁকির মাত্রা বিবেচনায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।
এ সময় রংপুর র্যাব-১৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মনজুর করিম প্রদীপ, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মজিদ আলী, পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
Comments