দেশে এখন দুটি পক্ষ, একটি সংস্কারের পক্ষে ও অন্যটি বিপক্ষে: হাসনাত

বক্তব্য দিচ্ছেন এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, এখন বাংলাদেশে দুইটা পক্ষ—একটা সংস্কারের পক্ষে, অন্যটি বিপক্ষে। সংস্কারের পক্ষে যারা আছেন, মনে হয়েছে তারা কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছেন। যারা বিপক্ষে, তারা সংস্কারের পক্ষ থেকে দূরে সরে গেছেন।

আজ শনিবার দুপুরে বরগুনার জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এনসিপির এক সমন্বয় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

জুলাই সনদের মাধ্যমে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন জাতির সঙ্গে প্রতারণা করেছে, বিএনপির এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে হাসনাত বলেন, আমরা বারবার বলেছিলাম, যেই জুলাই সনদে স্বাক্ষর করতে হবে, সেটা আগে আমাদের দেখাতে হবে। তো উনারা না দেখে স্বাক্ষর কেন করলেন? উনাদের তো আগে দেখা উচিত ছিল না। আমরা আগেই বলেছিলাম, এটি আমাদের দেখাতে হবে। কে জুলাই সনদ ঘোষণা করবেন, সেটা আগে নিশ্চিত করতে হবে। সেটাকে অর্ডার জারি করতে হবে। আমরা তো অবিবেচকের মতো সই করি নাই। তখন আমাদের বিভিন্নভাবে দায়ী করা হয়েছে, আমরা সংস্কার প্রক্রিয়া পিছিয়ে দিতে চাই।

তিনি আরও বলেন, আমরা ৫ আগস্টের আগে যে বিষয়গুলো উত্থাপন করেছিলাম, আজ কিন্তু তারা একই জিনিস উত্থাপন করেছেন। অর্থাৎ আমাদের জায়গাটায় তারা এসেছেন। আমরা বারবার বলেছিলাম, জুলাই সনদ এবং সনদের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া, এই বিষয়টি সুরাহা হতে হবে। সেটি জাতির সামনে প্রকাশ করতে হবে, তারপর আমরা সই করব। তারা সনদে সই করেছেন, এখন বিষয়টি কমিশনের সঙ্গে নিষ্পত্তি করবেন।

ইসির প্রতীক তালিকায় 'শাপলা কলি' যুক্ত করার বিষয়ে এনসিপির এ নেতা বলেন, আমরা শুরু থেকেই বলে আসছি, নির্বাচন কমিশনের কোনো সুস্পষ্ট নীতিমালা নেই। তারা কোন নীতিমালার ভিত্তিতে 'শাপলা কলি'কে অন্তর্ভুক্ত করল, সেটি কি ব্যাখ্যা করেছে? আবার কোন নীতিমালার কারণে 'শাপলাকে' অন্তর্ভুক্ত করবে না, সেটিও কি পরিষ্কার করেছে? 

হাসনাত আরও বলেন, কোন নীতিমালার কারণে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছে, সেই ব্যাখ্যাও স্পষ্ট করা হয়নি। এর মানে এই নির্বাচন কমিশনের মার্কা সংযুক্তি করার বিষয়টি এক ধরনের গোঁড়ামি। নির্বাচন কমিশনে অনেক পক্ষের শক্তি জড়িত। নির্বাচন কমিশন যে গঠিত হয়েছে, তার নীতিমালা কী ছিল?

'সংস্কার ও শাপলা নিয়ে আমাদের অবস্থান অপরিবর্তিত আছে। আমরা চাই, আমাদের শাপলা কেন বরাদ্দ দেওয়া হবে না, তার ব্যাখ্যা দিতে হবে। সেটা আইনগত জায়গা থেকেই ব্যাখ্যা দিতে হবে। তবে নির্বাচন কমিশন থেকে বলা হয়েছে, এর ব্যাখ্যা দেওয়া হবে না। এটা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান বা জনগণের প্রতিষ্ঠান। এটা কি জনগণের টাকায় চলছে না? আপনার এই প্রতিষ্ঠানের জবাব দিতে নিশ্চিত করার দায়িত্ব আপনার না? কিন্তু এই প্রতিষ্ঠান বলছে, এই সিদ্ধান্ত কেন নিয়েছি, সেটার ব্যাখ্যা দেবো না। নির্বাচন কমিশন যদি মনে করে, জবাববিহীন একটি সিদ্ধান্ত দেবে, তাহলে সেটি আমরা মেনে নেবো না', যোগ করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Victory day today: A nation born out of blood and grit

The tide of war had turned by mid-December in 1971. The promise of freedom was no longer a dream. It had hardened into tangible certainty.

7h ago