জঙ্গিবাদের বিশ্বস্ত ঠিকানা বিএনপি, আমরা জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়ছি

ছবি: সংগৃহীত

পুলিশের ওপর হামলা করে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে সাজাপ্রাপ্ত জঙ্গি সদস্যদের ছিনিয়ে নেওয়া প্রসঙ্গে বিএনপির মন্তব্যের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি জঙ্গিবাদের বিশ্বস্ত ঠিকানা। আমরা এর বিরুদ্ধে লড়াই করছি।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

নেতা-কর্মীদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ডিসেম্বর মাস আসছে। অপশক্তি মাঠে নেমেছে। অপশক্তি-সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা ২৪ নভেম্বর যশোর থেকে ডাক দেবেন। আপনারা প্রস্তুত হয়ে যান।

বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সঙ্গে পারবেন না। আল্লাহ যারে রাখে তারে মারে কে? ২০ বার চেষ্টা করেছে শেখ হাসিনাকে মারতে, পারেনি। আল্লাহ তাকে বাঁচিয়েছেন। মানুষ তার পক্ষে আছে, তাকে মারবেন কীভাবে!

বিএনপি মহাসচিবের উদ্দেশে তিনি বলেন, ফখরুল ভাই, দেখে তো মনে হয় ভালো মানুষ। আপনার মুখে মধু, অন্তরে এত বিষ কেন?

কাদের আরও বলেন, মুখের কথায় জনগণ ভোট দেবে না, কাজ দেখে ভোট দেবে।

'আদালতের ঘটনায় বিএনপি বলেছে আওয়ামী লীগ জঙ্গিবাদ করে। এ ঘটনা কারা ঘটিয়েছে, তদন্ত হচ্ছে, অপেক্ষা করুন। শায়েখ আব্দুর রহমান, বাংলা ভাই কার সময়ে সৃষ্টি হয়েছে, কখন সৃষ্টি হয়েছে, মনে হয়েছে? জঙ্গিবাদের বিশ্বস্ত ঠিকানা হলো বিএনপি। আমরা জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছি।'

বাংলাদেশে যদি আইন করে মিথ্যাচার নিষিদ্ধ করা হয়, তাহলে বিএনপির অস্তিত্বই টিকিয়ে রাখা যাবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। কাদের বলেন, বিএনপির রাজনীতি মিথ্যাকে পুঁজি করে।

তিনি বলেন, সারা বিশ্বে সংকট। আমরা কিছুটা বিপদে পড়েছি, অস্বীকার করি না। সাধারণ মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। শেখ হাসিনার মুখের কথা। তাই বলে তিনি দুর্ভিক্ষ বলেননি। তিনি বলেছেন, বিশ্ব নেতাদের বলেছি, সারা পৃথিবীতে দুর্ভিক্ষের পদধ্বনী। বাংলাদেশের কথা তিনি বলেননি। তারপরও বিএনপি মহাসচিব বারবার মিথ্যাচার করেই যাচ্ছেন। শেখ হাসিনার রাতে ঘুম হয় না মানুষকে বাঁচাতে। আমরা কিছু সময়ের জন্য বিপদে পড়েছি। এ বিপদ থেকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে, তিনি চেষ্টা করছেন, আমরা সমালে উঠবো। কিন্তু ফখরুলের মিথ্যা কথা কি বন্ধ হবে? মানুষকে বাঁচাতে আমাদের আমদানি করতে হচ্ছে। বিএনপি এটা নিয়ে অপপ্রচারে মেতে উঠেছে। এখনো ৩৬ বিলিয়নের কাছাকাছি আমাদের রিজার্ভ। ৬ মাসের আমদানির টাকা আছে। সংকট মোকাবিলায় ৩ মাসের থাকলেই হয়। আমরা এটাকে অত সংকট মনে করছি না।

পোস্টার-ব্যানার তৈরি করায় নেতা-কর্মীদের সমালোচনা করে কাদের বলেন, অনেক মানুষ এখন কষ্ট পাচ্ছে। সংসার চালাতে পারছে না। গরিব মানুষ বৈশ্বিক সংকটের শিকার হয়েছে। এদের মধ্যে টাকাটা দিয়ে দিতে পারতেন।

ব্যানার-বিলবোর্ড প্রসঙ্গে তিনি বলেন, লক্ষ্মীপুরে এসে এত ছবি দেখলাম। হায়রে আল্লাহ!

তিনি আরও বলেন, কাগজের ছবি ছিঁড়ে যাবে। বিলবোর্ডের ছবি মুছে যাবে। ব্যানারের ছবিও ছিঁড়ে যাবে। হৃদয়ে নাম লেখাতে হবে। সেই নাম কেউ মুছতে পারবে না। মঞ্চ তো ভরপুর, নেতা আর নেতা। বড়, মাঝারি, পাতি নেতা; সব নেতাই মঞ্চে। নেতার ভিড়ে কর্মী চিনতে কষ্ট হয়। কর্মী তাহলে কারা? লক্ষ্মীপুরে আওয়ামী লীগের সম্মেলন দেখে মনে হচ্ছে, লক্ষ্মী যেন ফিরে এসেছে। ফিরে যেন না যায়। অকাম-কুকাম, অপকর্ম...শুধরে যান। কে কী করেন, সবার এসইআর শেখ হাসিনার কাছে আছে। কাজেই ভালো হয়ে যান। না হলে খবর আছে।

Comments

The Daily Star  | English

‘90% of garment workers dress modestly; have we told them to wear burqas?’

Jamaat chief proposes 5-hour workday for mothers if elected to show ‘extra respect’

1h ago