চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ কার্যালয় ভাঙচুর করে দখলে নিলো এনসিপি

বন্দরনগরী চট্টগ্রামের কোতোয়ালি এলাকায় আওয়ামী লীগের একটি কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও দখলের অভিযোগ উঠেছে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে বন্দরনগরীতে জিপিওর বিপরীতে দোস্ত ভবনের চতুর্থ তলায় এ ঘটনা ঘটে। এ ভবনেই চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশের সূত্র জানায়, বিকেলে ৪০-৫০ জনের একটি দল দোস্ত ভবনের চতুর্থ তলায় যায় এবং তারা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে প্রবেশ করে ভাঙচুর চালায়। ঘটনার পরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।
এনসিপি নেতাদের দাবি, নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে রাতে ওই অফিসে বৈঠক করে নগরজুড়ে নাশকতার পরিকল্পনা করছিল।
নগরীর অন্যতম পুরোনো দোস্ত ভবনে বিএনপি, আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অফিস রয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, এনসিপির চট্টগ্রাম মহানগর শাখার যুগ্ম সমন্বয়ক আরিফ মঈনুদ্দিন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন নেতা ওই ভবনে ভাঙচুর চালাচ্ছেন।
জানতে চাইলে আরিফ মঈনুদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা সেখানে গিয়েছিলাম। আমাদের কাছে তথ্য ছিল, নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের কিছু নেতা ওই কার্যালয়টি প্রায় রাতেই ব্যবহার করে নগরজুড়ে অগ্নিসন্ত্রাসের পরিকল্পনা করছিল। আমরা সেখানে গিয়ে তালা ভেঙে প্রবেশ করি এবং দেখি সভা করার মতো সম্পূর্ণ আয়োজন রয়েছে।'
আওয়ামী লীগ কার্যালয় দখলের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে এই এনসিপি নেতা বলেন, 'গত ৫ আগস্টের সময় আমরা এখানে এসেছিলাম, তখন শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুর করা হয়েছিল। এরপর কিছু দিন কার্যালয়টি বন্ধ ছিল। আজ আবার গেছি এবং আগামী দুই দিন ভবনের কার্যক্রম আমরা পর্যবেক্ষণে রাখব।'
'ওই ভবনটি নিয়ে মামলা চলছে। লিজের বিষয়ে আমরা সব কিছু নিশ্চিত করে পরবর্তীতে অফিস ভাড়া নেব,' যোগ করেন তিনি।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল করিম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা আওয়ামী লীগ কার্যালয় ভাঙচুরের কথা শুনেছি, তবে কেউ এখনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
Comments