যুগপৎ আন্দোলন: পল্টন মোড়ে ৮ দলের নেতাকর্মী
অভিন্ন পাঁচ দফা দাবি আদায়ে প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি বাস্তবায়নে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সমমনা ৮টি দলের নেতাকর্মীরা রাজধানীর পল্টন মোড়ে জড়ো হচ্ছেন।
ঢাকার আলাদা আলাদা এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে আসছে দলগুলো। পল্টন মোড়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে শেষে এখান থেকেই মিছিল নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের দিকে যাওয়ার কথা রয়েছে তাদের।
ইতোমধ্যে সবগুলো দলের নেতাকর্মীরা পল্টন মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন।
রাজধানীর ব্যস্ততম এই সড়কে হাজারো মানুষের অবস্থানে পল্টন ও এর আশেপাশের এলাকায় এরই মধ্যে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে, ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
গত সোমবার পল্টনে বাংলাদেশ খেলাফত মসজিদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলন করে আন্দোলনের পঞ্চম দফার এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আলোচনার ভিত্তিতে সব দল রাজনৈতিক সংকটের সমাধান করতে পারবে এবং জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির মাধ্যমেই আগামী নির্বাচন হবে।
তবে সরকার দাবি মেনে না নিলে আগামী ১১ নভেম্বর এই ৮টি দল ঢাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ করবে বলেও জানান মামুনুল।
ওই সংবাদ সম্মেলনে শরিক দল জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহেরও জুলাই সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া ও গণভোট আয়োজন নিয়ে মতপার্থক্য নিরসনে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপের তাগিদ দেন। সেই আলোচনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে 'রেফারির' ভূমিকায় থাকার আহ্বান জানান তিনি।
৮ দলের পাঁচ দফা দাবিগুলো হলো—জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি ও ওই আদেশের ওপর আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যেই গণভোট আয়োজন করা; আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয়কক্ষে/উচ্চকক্ষে পিআর (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতি চালু করা; অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) নিশ্চিত করা; 'ফ্যাসিস্ট' সরকারের সব জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা; 'স্বৈরাচারের দোসর' জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।
তবে সোমবারের সংবাদ সম্মেলনে মামুনুল হক বলেন, এই পাঁচ দফার কিছু বিষয়ে এখন আরও বেশি গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে চাইছেন তারা। সেগুলো হলো—অনতিবিলম্বে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি করা, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে পৃথকভাবে গণভোটের আয়োজন করা ও সংশোধিত আরপিও হুবহু বহাল রাখা।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে চলে আসা এ আন্দোলনের অন্য শরিক দলগুলো হলো—খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি।


Comments