বিশেষ একজন ছাড়া সবাই খারাপ, এই ধারণা গণতন্ত্রের জন্য বিপজ্জনক: তারেক রহমান
বিশেষ একজন ছাড়া সবাই খারাপ, এই ধারণা গণতন্ত্রের জন্য বিপজ্জনক বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপি আয়োজিত 'দেশ গড়ার পরিকল্পনা' শীর্ষক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
তারেক রহমান বলেন, গত ১৬ বছর ধরে আমি ভালো আর সব খারাপ, এ রকম একটা বিষয় আমরা দেখেছি। দুঃখজনক হলেও সত্য ২৪ সালের ৫ আগস্টের পরে কেন জানি মনে হচ্ছে—সেটির বোধহয় পরিবর্তন হয়নি। এটির পরিবর্তন হওয়া বাঞ্ছনীয়, এটির পরিবর্তন হওয়া অত্যন্ত জরুরি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আমরা বহুদলীয় গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। বহুদলীয় গণতন্ত্রে মানুষ বিভিন্ন মতামত দেবে, মতামত দেওয়ার অধিকার তার আছে, বক্তব্য দেওয়ার অধিকার তার আছে। কিন্তু বিশেষ একজন ভালো আর বাকি সবাই খারাপ, এটি কোনোভাবে কাম্য হতে পারে না। এই ধারণার পরিবর্তন হতে হবে। এটি গণতন্ত্রের জন্য হুমকি, এটি গণতন্ত্রের জন্য বিপজ্জনক।
তিনি বলেন, আমাদের বসে থাকার সময় নেই। বিভিন্ন এলাকায় আমাদের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। হয়তো এমনও হতে পারে আপনার এলাকায় যে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে দলের পক্ষ থেকে, হয়তো আপনি যাকে পছন্দ করতেন তিনি পাননি, যে পেয়েছে তার সঙ্গে হয়তো সম্পর্ক আছে, একটু কম। আপনি তো প্রার্থীর জন্য কাজ করছেন না, আপনি ধানের শীষের জন্য কাজ করছেন।
তারেক রহমান আরও বলেন, এখানে প্রার্থী মুখ্য নয়, এখানে মুখ্য হচ্ছে বিএনপি। এখানে মুখ্য হচ্ছে ধানের শীষ, এখানে মুখ্য হচ্ছে দেশ। মানুষ ধানের শীষের পক্ষে রায় দিলে দেশ গড়ার প্রত্যেকটা পরিকল্পনা আমরা বাস্তবায়ন করতে পারব এবং করব।
তিনি আরও বলেন, দেশ গড়ার পরিকল্পনাগুলো আমরা পরিকল্পনার মধ্যে রাখব না। এগুলোকে আমরা যেকোনো মূল্যে বাস্তবায়ন করব জনগণকে সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে। আমাদের আজ প্রতিজ্ঞা ও কর্মপন্থা হলো—এই পরিকল্পনাগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের জনগণকে সম্পৃক্ত করব। এটাই হচ্ছে আমাদের পরবর্তী দুই মাসের কাজ। এর বাইরে আর কোনো কাজ নেই।
ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের দেশ গড়ার পরিকল্পনাগুলো নিয়ে নিজ নিজ এলাকার মানুষকে সম্পৃক্ত করা, সমর্থন নেওয়া ও সমর্থন জোগাড় করার জন্য আহ্বান জানান দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
তারেক রহমান বলেন, গণতন্ত্রের কোনো বিকল্প নেই। কেন নেই? বিগত যে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন করেছি। কেন আন্দোলন করেছি? কারণ সেখানে কোনো জবাবদিহিতা ছিল না। মানুষ বেঁচে আছে, কী মরে যাচ্ছে তার কোনো জবাবদিহিতা ছিল না।
'একমাত্র গণতন্ত্র সমাজে-দেশে এবং রাষ্ট্রে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারে। সাধারণ মানুষের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য থাকে একমাত্র নির্বাচিত একটি গণতান্ত্রিক সরকার।'
তিনি আরও বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড হচ্ছে দেশের মানুষ। একজন গৃহবধূ ৫ তারিখের সেই আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড। মাস্টারমাইন্ড হচ্ছে দেশের মুদি দোকানদার, ক্ষুদ্র দোকানদার, রিকশাচালক, ভ্যানচালক, সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক, বাসের হেলপার, ছাত্রজনতা, মাদ্রাসার ছাত্র, ইউনিভার্সিটি কলেজ প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিসহ স্কুল কলেজের ছাত্ররা। ওই আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড ছোট ছোট শিশুরা। ওই আন্দোলনে ৬৩ জন শিশু মারা গেছে।


Comments