চট্টগ্রামে যুবদলের দুইপক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ছাত্রদল কর্মী নিহত

মো. সাজ্জাদ। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামে যুবদলের দুইপক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ এক ছাত্রদল কর্মী নিহত ও অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।

বাকলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোজাম্মেল হক দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, আজ মঙ্গলবার ভোরে এ ঘটনায় নিহত হয়েছেন মো. সাজ্জাদ (২২)।

দলীয় সূত্র জানিয়েছে, চট্টগ্রাম নগর যুবদলের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশার অনুসারী ছিলেন সাজ্জাদ।

পুলিশ ও দলীয় সূত্র জানায়, গতরাতে ব্যানার ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে আজ ভোররাত দেড়টার দিকে বাকলিয়া অ্যাক্সেস রোডে এমদাদুল ও সাবেক নগর ছাত্রদল সভাপতি গাজী সিরাজ উল্লাহর অনুসারীদের মধ্যে গোলাগুলি হয়।

পরিদর্শক মোজাম্মেল হক বলেন, 'সংঘর্ষের সময় সাজ্জাদ গুলিবিদ্ধ হন। পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।'

দলীয় সূত্র জানায়, গতরাতে এমদাদুলের অনুসারী স্থানীয় যুবদল কর্মী মো. জসিমকে সিরাজের অনুসারী বোরহান উদ্দিন ও নজরুল ইসলাম সোহেল অপহরণ করে মারধর করলে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। বোরহান আগে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি তিনি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও সাবেক নগর বিএনপি সভাপতি শাহাদাত হোসেনের ছবি সংবলিত ব্যানার টানান। এ নিয়ে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে।

জসিম গণমাধ্যমকে বলেন, মেয়র শাহাদাত হোসেন তাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন যে শহরের বিভিন্ন স্থানে ঝুলানো 'স্বঘোষিত নেতাদের' ছবি সংবলিত ব্যানারগুলো নামিয়ে ফেলতে।

ওই নির্দেশনার পর জসিম ও তার সহযোগীরা বাকলিয়া ও আশপাশের এলাকায় কয়েকটি ব্যানার নামিয়ে ফেলেন। এর মধ্যে একটি ব্যানারে শাহাদাত, সিরাজ ও বোরহানের ছবি ছিল।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বোরহান ও তার অনুসারীরা তাকে অপহরণ ও মারধর করেন বলে অভিযোগ করেন জসিম।

দলীয় সূত্র জানায়, জসিমের অপহরণের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর এমদাদুলের অনুসারীরা তাকে উদ্ধারে বাকলিয়া অ্যাক্সেস রোডে পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গে তারা হামলার শিকার হন। এ সময় সাজ্জাদ গুলিবিদ্ধ হন।

এমদাদুল সাংবাদিকদের বলেন, সিরাজসহ অন্যদের ছবি দিয়ে ব্যানার টানিয়েছিল বোরহান। মেয়র শাহাদাত সেগুলো নামানোর নির্দেশ দিলে বোরহানের লোকজন জসিমকে অপহরণ করে। আমাদের লোকজন তাকে উদ্ধারে গেলে তারা গুলি চালায়।

জবাবে সিরাজ বলেন, বোরহান ও সোহেল আমার অনুসারী নয়। আমি বর্তমানে আসন্ন নির্বাচনের জন্য পটিয়ায় আছি। তাদের অসদাচরণের খবর জানার পর আমি তাদের সঙ্গে সব যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছি।

গুলির ঘটনার পর হাসপাতালে ছুটে আসা সাজ্জাদের মা ফারিদা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, 'আমার ছেলেকে কেন গুলি করল? আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।'

Comments

The Daily Star  | English

Sugar, edible oil imports surge as dollar supply improves

Bangladesh’s imports of key essential commodities rose in the first quarter of fiscal year 2025-26 (FY26), supported by improved availability of foreign exchange and lower prices in the international market.

5h ago