হলিউড অভিনেতা হ্যারিসন ফোর্ডের নামে সাপ

সাপ (বাঁয়ে) ও হ্যারিসন ফোর্ড (ডানে)। ছবি: সংগৃহীত
সাপ (বাঁয়ে) ও হ্যারিসন ফোর্ড (ডানে)। ছবি: সংগৃহীত

হ্যারিসন ফোর্ডের কালজয়ী চরিত্র ইনডিয়ানা জোন্স সাপদের 'ঘৃণা' করলেও সম্প্রতি এই অভিনেতার নামে একটি সাপের নামকরণ করা হয়েছে। সাপের এই নতুন ধরনটি পেরুর আন্দিজ পর্বতমালায় আবিষ্কার করা হয়।

আজ বুধবার জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে।

জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র ও পেরুর বিজ্ঞানীদের একটি দল হ্যারিসন ফোর্ডের নামে সাপটির নাম রাখেন। 

হ্যারিসন ফোর্ড তার অভিনীত ইনডিয়ানা জোনস চরিত্রের সিনেমাগুলোতে বেশ কয়েকবার ভয়ানক সাপের বিরুদ্ধে লড়েন।

গতকাল মঙ্গলবার জার্মান সোসাইটি ফর হার্পিটোলজি অ্যান্ড হার্পিটোকালচার (ডিজিএইচটি) হলিউড তারকার পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার প্রতি সম্মান জানিয়ে সাপটির নাম 'ট্যাকিমেনয়ডেস হ্যারিসনফোর্ডি' রাখার ঘোষণা দেন।

হ্যারিসনফোর্ডি সাপের দৈর্ঘ্য ১৬ ইঞ্চি (৪০ দশমিক ৬ সেন্টিমিটার)। এর গায়ের রঙ হলদেটে-বাদামী। গায়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে কালো রঙের ছোপছোপ দাগ রয়েছে। সাপের পেটের রঙ কালো এবং চোখের রঙ তামাটে।

হ্যারিসন ফোর্ড জানান, তিনি এ ঘটনায় অভিভূত হয়েছেন।

ইনডিয়ানা জোনস সিনেমায় নাম-ভূমিকায় অভিনয় করে সুনাম কুড়িয়েছেন হ্যারিসন ফোর্ড। ছবি: ডয়েচে ভেলে
ইনডিয়ানা জোনস সিনেমায় নাম-ভূমিকায় অভিনয় করে সুনাম কুড়িয়েছেন হ্যারিসন ফোর্ড। ছবি: ডয়েচে ভেলে

এক বিবৃতিতে তিনি মজা করে বলেন, 'এই বিজ্ঞানীরা খালি আমার নামে বিভিন্ন প্রাণীর নামকরণ করতে থাকেন, কিন্তু সব সময়ই তারা এমন সব প্রাণী নির্বাচন করেন, যেগুলো ছোট শিশুদের ভীতির কারণ।'

'অথচ আমি আমার অবসর সময়ে কাপড় সেলাই করি। ছোট ছোট তুলসী গাছকে ঘুমপাড়ানি গান শুনাই, যাতে তারা রাতে ভয় না পায়', যোগ করেন তিনি।

৮১ বছর বয়সী অভিনেতা তাকে এই সম্মান দেওয়া ও উল্লেখযোগ্য বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের জন্য গবেষকদের ধন্যবাদ জানান।

তিনি বলেন, 'এই আবিষ্কার আমাদেরকে মনে করিয়ে দিচ্ছে যে প্রকৃতির অনেক রহস্যই এখনো উন্মোচন হতে বাকি—এবং মানবজাতি প্রায় অসম্ভব পর্যায়ের সুবিশাল বাস্তুতন্ত্রের এক ক্ষুদ্র অংশ মাত্র।'

২০২২ সালের মে মাসে সাপটিকে আবিষ্কার করেন ৩ দেশের বিজ্ঞানীদের সমন্বয়ে গঠিত ১টি দল।

একমাত্র পুরুষ নমুনাটিকে পেরু আন্দিজ পর্বতমালায় চিহ্নিত করা হয়। সাপটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩ হাজার ২৪৮ মিটার উঁচুতে বসে সূর্যস্নান করছিল।

Comments

The Daily Star  | English

Victory day today: A nation born out of blood and grit

The tide of war had turned by mid-December in 1971. The promise of freedom was no longer a dream. It had hardened into tangible certainty.

7h ago