ওহাইওতে পুলিশের গুলিতে কৃষ্ণাঙ্গ কিশোরী নিহত

যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইওতে পুলিশের গুলিতে কৃষ্ণাঙ্গ কিশোরী ম্যাকিয়া ব্রায়ান্টের নিহতের ঘটনায় বিক্ষোভকারীরা তার নাম সম্বলিত প্ল্যাকার্ড তুলে ধরে প্রতিবাদ জানায়। ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইও রাজ্যে পুলিশের গুলিতে ১৬ বছর বয়সী এক কৃষ্ণাঙ্গ কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। মিনেসোটায় পুলিশ হেফাজতে কৃষ্ণাঙ্গ তরুণ জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডের রায়ের দিনই ওহাইওর সবচেয়ে বড় শহর কলম্বাসে এ ঘটনা ঘটে।

বিবিসি জানায়, পুলিশের গুলিতে নিহত কিশোরীর নাম ম্যাকিয়া ব্রায়ান্ট।

এ ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর ওই পুলিশ কর্মকর্তার শরীরে লাগানো ভিডিও ক্যামেরার ফুটেজ প্রকাশ করা হয়েছে।

ভিডিওতে দেখা গেছে, গুলিবিদ্ধ হওয়ার আগে ওই কিশোরী দুই ব্যক্তিকে ছুরি হাতে তাড়া করছে।

ওই পুলিশ সদস্যের পরিচয় এখনও প্রকাশ করা হয়নি। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে ‘দায়িত্ব থেকে সরিয়ে রাখা হবে’।

কলম্বাস ডিসপ্যাচ পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটের দিকে কলম্বাসের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চল থেকে পুলিশ ডাকা হয়েছিল।

পুলিশের ক্যামেরা ফুটেজে দেখা গেছে, একটি বাড়ির বাইরে কয়েকজনের মধ্যে বিরোধ বাধে। মাখিয়া ব্রায়ান্ট ছুরি হাতে তাদের তাড়া করে।

তারপরে এক পুলিশ কর্মকর্তা চিৎকার করে তাদেরকে শান্ত হতে বলে। এরপরই মেয়েটিকে গুলি করা হয়।

কর্মকর্তারা জানান, ছুরি হাতে যাকে তাড়া করা হয়েছিল তার জীবন বাঁচাতে পুলিশ গুলি চালাতে বাধ্য হয়।

তবে স্থানীয় গণমাধ্যমে নিহত কিশোরীর আত্মীয়রা জানান, ম্যাকিয়া ব্রায়ান্টকে আক্রমণ করা হয়েছিল। সে কেবল আত্মরক্ষার চেষ্টা করেছে।

স্থানীয় ব্রডকাস্টার ডব্লিউবিএনএস-টিভিতে কথা বলার সময় নিহত কিশোরীর মা পাওলা ব্রায়ান্ট বলেন, ‘এটা হওয়া উচিত না। আমি এর জবাব চাই।’

ঘটনার পর এক সংবাদ সম্মেলনে কলম্বাস পুলিশের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান মাইক উডস বলেছেন, ওহিও অপরাধ তদন্ত ব্যুরো ঘটনাটি তদন্ত করছে।

পুলিশের গুলিতে কিশোরীর নিহত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর সেই বাড়িটির কাছে কয়েকজন বিক্ষোভকারী জড়ো হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Dozens of zombie firms still trading as if nothing is wrong

Nearly four dozen companies have been languishing in the junk category of the Dhaka Stock Exchange (DSE) for at least five years, yet their shares continue to trade on the country’s main market and sometimes even appear among the top gainers. 

1h ago