যেন বাংলাদেশ ভাবনাতেই নেই!

বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান ম্যাচ

শোয়েব মালিকের সংবাদ সম্মেলন শেষ হতেই বাংলাদেশি এক সাংবাদিক উঠে দাঁড়িয়ে বললেন- ‘এ দেখি পাকিস্তান ক্রিকেটের সংকট ও সম্ভাবনার ফিরিস্তি, বাংলাদেশ ম্যাচ নিয়ে তো কিছুই নেই!’ পাকিস্তানি ও ভারতীয় সাংবাদিকরা মালিককে প্রশ্ন করেছেন তাদের ক্রিকেটের হালচাল নিয়ে, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে। চেষ্টা করেও প্রশ্ন করার সুযোগ মেলেনি বাংলাদেশি সাংবাদিকদের। যে কারণে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন,  সেই ‘সেমিফাইনাল’ হয়ে উঠা বাংলাদেশ ম্যাচের প্রসঙ্গ তাই আসেইনি ওইভাবে।

আইসিসি ক্রিকেট একাডেমিতে বাংলাদেশ কোচ স্টিভ রোডসের সংবাদ সম্মেলন শেষ হওয়ার পর থেকেই শোয়েব মালিকের অপেক্ষা। পাকিস্তানের এই তারকা এলেন নির্ধারিত সময়ের প্রায় আধাঘণ্টা পর। দেরির জন্য শুরুতে ক্ষমা চাইলেন পাকিস্তান দলের মিডিয়া ম্যানেজার। পরে করেছেন আরও হতাশ।

বুধবার বাংলাদেশের বিপক্ষে ফাইনালে উঠার লড়াই তাদের। অথচ পুরো সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ শব্দটি এল মাত্র একবার।

এবার এশিয়া কাপে প্রায় প্রতি ম্যাচেই পাকিস্তানকে টানছেন শোয়েব মালিক। ভারতের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বে ৪৩ রান করার পর আফগানিস্তানের বিপক্ষে শ্বাসরোদ্ধকর ম্যাচে ৫১ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেছেন। ভারতের বিপক্ষে সুপার ফোরে দলের ভরাডুবির মধ্যেও হেসেছে তার ব্যাট। খেলেছেন ৭৮ রানের ইনিংস। মালিক আসাতে তাই খবরের রসদ মেলার আশায় নড়েচড়ে বসেছিলেন সবাই। খানিক পরই নিভে গেছে তা।

জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানি সাংবাদিকরা কাঁটাছেড়ায় গেলেন চির প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের কাছে হেরে যাওয়া দুই ম্যাচের ভুল নিয়ে। ভারতীয়রাও প্রশ্ন ছুঁড়লেন ওই দুই ম্যাচের বিভিন্ন দিক নিয়ে। দেখে মনে হতে পারে ভারত-পাকিস্তান সিরিজের কোন সংবাদ সম্মেলনেই বুঝি ভুল করে এসে পড়া হয়েছে। পরদিন যে বাংলাদেশের বিপক্ষে পাকিস্তানের ম্যাচ, শোয়েব মালিকের সংবাদ সম্মেলনে তা বোঝার উপায় কি!

বাংলাদেশি সাংবাদিকরা শুরু থেকেই প্রশ্নের জন্য হাত তুলে অপেক্ষায় ছিলেন। মাত্র একজন পেয়েছেন সে সুযোগ। ‘পাকিস্তান ফেভারিট, বাংলাদেশ কিছুটা আন্ডারডগ’ বাংলাদেশ কোচের এমন মন্তব্যের জবাবে ক্রিকেটীয় কূটনীতির আশ্রয় নিয়েছেন মালিক। দুই লাইনের উত্তরে পাঠকের খোরাক যোগানোর মত আর কিছু নেই।

সংবাদ সম্মেলন শেষ হতেই বাংলাদেশি এক সাংবাদিক গিয়ে ধরলেন পাকিস্তানের মিডিয়া ম্যানেজারকে। প্রশ্ন ছুঁড়লেন, কাল আসলে কার ম্যাচ? তার উত্তর,  দেওয়ার মতো আসলে যথেষ্ট সময় নাকি তাদের হাতে নেই।

 

Comments

The Daily Star  | English

ACC to get power to probe corruption by Bangladeshis anywhere, foreigners in Bangladesh

The Anti-Corruption Commission (ACC) is set to receive sweeping new powers under a proposed ordinance that will allow it to investigate corruption by Bangladeshi citizens, both at home and abroad, as well as by foreign nationals residing in the country. .The draft Anti-Corruption Commissio

35m ago