এই দুঃখ ভুলে গেছেন মুশফিক

Mushfiqur Rahim
৯৯ রানে আউট হওয়ার পর মুশফিকুর রহিম। ছবি: এএফপি

যেভাবে খেলছিলেন মুশফিকুর রহিম সেঞ্চুরিটা ছিল তার পাওনা। দলের বিপর্যয়ের হাল ধরে পরিস্থিতি বদলেছে, পাঁজরের ব্যথা ভোগাচ্ছিল। থোড়াই কেয়ার করে এগিয়ে গেছেন। ডিহাইড্রেশনও পাত্তা দেননি। অথচ তিন অঙ্কের এক ধাপ দূরে থাকতেই হয়ে গেলেন আউট। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এরকম ‘দুর্ভাগ্যের’ শিকার হননি আর কোন বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান। দল জেতায় এসব ব্যক্তিগত দুঃখ হাওয়ায় উড়ে গেছে বলে জানান মুশফিক।

শাহিন আফ্রিদিকে থার্ড ম্যান দিয়ে চার মেরে পৌঁছেছিলেন ৯৯ রানে। পরের বলেই ড্রাইভ করতে যেয়ে উইকেটের ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে। সব সংস্করণ মিলেই ৯৯ রান আউট হওয়া প্রথম বাংলাদেশি দুর্ভাগা বনে যান তিনি।

সেঞ্চুরি না পেলেও দল জিতেছে, তিনি হয়েছেন ম্যাচ সেরা। তাই ওই দু:খ মুশফিককে আর স্পর্শই করছে না, ‘সত্যি বলতে, জেতার পর থেকেই দু:খ আর পাচ্ছি না। আমরা কতটা জানেন জানি না, দলই আমার কাছে সবার আগে। আমি যদি সেঞ্চুরি করতাম, দল ২৬০ করে হেরে যেত, ভালো লাগাটা আমার কখনোই আসত না। এটা মুখের কথা নয়, আমার মনের কথা।’

আউট হওয়ার পরও নিজের সেঞ্চুরি কথা ভেবে আফসোস করেননি মুশফিক, তখনও ভেবেছিলেন দলের কথাই, ‘আউট হওয়ার পর আমার হতাশাটা ছিল দলের কারণেই। ড্রেসিং রুমে ফিরেও বারবার বলছিলাম যে একজন সেট ব্যাটসম্যানের অন্তত ৪৮ ওভার পর্যন্ত খেলা উচিত। কারণ নতুন ব্যাটসম্যানের জন্য ওদের বোলিং আক্রমণ খেলা সহজ নয়। দেখেছেন আজকেও যে শেষ ২০ ওভারে আমরা মাত্র ১১০ রানের মতো করতে পেরেছিলাম। এজন্যই আমার কাছে হতাশার ছিল। কিন্তু দলের জয়টাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে আলহামদুলিল্লাহ।’

 

Comments

The Daily Star  | English
Yunus, Charter, and Our Future

Yunus, Charter, and Our Future

Can the vision for 'New Bangladesh' ignore the poor, farmers, workers, youth, women, or employment and climate crises?

23h ago