ক্রিকেট

পাকিস্তানকে ২৭০ রানে বেঁধে ফেললেন ইয়ানসেন-শামসি

পেস বোলিং অলরাউন্ডার ইয়ানসেন ৩ উইকেট নেন ৪৩ রানে। বাঁহাতি স্পিনার শামসি ৪ উইকেট শিকার করেন ৬০ রানে।

পাকিস্তানকে ২৭০ রানে বেঁধে ফেললেন ইয়ানসেন-শামসি

পাকিস্তান বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
ছবি: রয়টার্স

সাত ব্যাটার গেলেন দুই অঙ্কে। কিন্তু কেউই ইনিংস লম্বা করতে পারলেন না। মার্কো ইয়ানসেনের শুরুর দাপটের পর মাঝের ওভারগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ ব্রেক থ্রু দিলেন তাবরাইজ শামসি। তাতে তিনশর আশা জাগানো পাকিস্তানকে আগেভাগে থামাল দক্ষিণ আফ্রিকা

শুক্রবার চেন্নাইতে টস জিতে আগে ব্যাট করে ২৭০ রানে অলআউট হয়েছে পাকিস্তান। তারা খেলতে পারে ৪৬.৪ ওভার। পেস বোলিং অলরাউন্ডার ইয়ানসেন ৩ উইকেট নেন ৪৩ রানে। বাঁহাতি স্পিনার শামসি ৪ উইকেট শিকার করেন ৬০ রানে। ৪২ রানে ২ উইকেট যায় ডানহাতি পেসার জেরাল্ড কোয়েটজির ঝুলিতে।

পাকিস্তানের ইনিংসের শুরুতেই জোড়া ধাক্কা দেন ইয়ানসেন। দীর্ঘদেহী দক্ষিণ আফ্রিকান সাত ওভারের মধ্যে তুলে নেন দুই ওপেনারকে। শর্ট বল উড়িয়ে মেরে সীমানার কাছে ক্যাচ দেন আব্দুল্লাহ শফিক। ফাঁদে পা দিয়ে কাটা পড়েন ইমাম উল হক। ডিপ স্লিপে তার ক্যাচ তালুবন্দি করেন হেইনরিখ ক্লাসেন।

৩৮ রানে ২ উইকেট হারানো পাকিস্তানের বিপদ আরও বাড়তে পারত। উইকেটে যাওয়ার পর প্রথম বলেই আউট হতে পারতেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। তার তোলা ফিরতি ক্যাচ সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও হাতে জমাতে পারেননি ইয়ানসেন।

জীবন পেয়ে চালিয়ে খেলতে থাকেন রিজওয়ান। উইকেটরক্ষক-ব্যাটার সঙ্গী হিসেবে পান অধিনায়ক বাবর আজমকে। তারা গড়ে তোলেন প্রতিরোধ। তবে খুব বড় হওয়ার আগেই ভাঙে জুটি। কোয়েটজির বাউন্সারে উইকেটের পেছনে কুইন্টন ডি ককের গ্লাভসে জমা পড়ে রিজওয়ানের ক্যাচ।

২৭ বলে ৩১ করে থামেন রিজওয়ান। তার সঙ্গে ৫৬ বলে ৪৮ রানের জুটির পর ইফতিখার আহমেদকে নিয়ে ৫৬ বলে ৪৩ রানের জুটি গড়েন বাবর। ইফতিখার ছটফট করছিলেন। শামসির ওপর চড়াও হতে গিয়ে ইতি ঘটে তার সংগ্রামের। ডাউন দ্য উইকেটে গিয়ে উড়িয়ে মেরেছিলেন তিনি। লং অনে দারুণ এক ক্যাচ নেন ক্লাসেন।

ফিফটির পরপরই বাবর ফিরলে ১৪১ রানে পতন হয় পাকিস্তানের পঞ্চম উইকেটের। শেষ মুহূর্তে রিভিউ নিয়ে পাকিস্তানের দলনেতাকে বিদায় করে প্রোটিয়ারা। শামসিকে সুইপ করার চেষ্টায় ঠিকমতো সংযোগ ঘটাতে পারেননি বাবর। গ্লাভসে আলতো করে স্পর্শ করে বল চলে যায় ডি ককের গ্লাভসে। ৬৫ বলে ৫০ করেন বাবর। তার ইনিংসে ছিল ৪ চার ও ১ ছক্কা।

চাপের মুখে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে প্রতিরোধের বদলে পাল্টা আক্রমণে নামেন সৌদ শাকিল ও শাদাব খান। নিয়মিত বাউন্ডারি আদায় করতে থাকেন তারা। এতে ২০তম ওভারে শতরান পূর্ণ করা পাকিস্তান দুইশ ছোঁয় ৩৭তম ওভারে। বড় পুঁজির সুবাস পেতে থাকে দলটি।

দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য মাথাব্যথার কারণ হয়ে ওঠা জুটিকে বিচ্ছিন্ন করেন কোয়েটজি। ৪০তম ওভারে শাদাবের আগ্রাসন থামান তিনি। ৩৬ বলে ৩ চার ও ২ ছয়ে তিনি করেন ৪৩ রান। ৭১ বলে ৮৪ রানের এই জুটি ভাঙার পর পাকিস্তানকে আর বেশি দূর এগোতে দেয়নি প্রোটিয়ারা।

বাবরের মতো শাকিলও হাফসেঞ্চুরি করেই সাজঘরের পথ ধরেন। ৫২ বল ৫২ রানের ইনিংসে তিনি মারেন ৭ চার। শামসির লেগ ব্রেকে পরাস্ত হন তিনি। ২৪ বলে ২৪ করা মোহাম্মদ নওয়াজকে আউট করেন ইয়ানসেন। ৪৫ রানে পাকিস্তানের শেষ ৫ উইকেট তুলে নেওয়ার তৃপ্তি নিয়েই তাই ইনিংস বিরতিতে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

Comments

The Daily Star  | English

Macroeconomic challenges to persist in Jul-Dec: BB

BB highlights inflation, NPLs, and tariff shocks as key concerns

2h ago