৪ উইকেটের পর এবার নাহিদের শিকার ৫

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ঝলমলে পারফরম্যান্স দেখালেন নাহিদ রানা। শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে তিনি নিলেন ৫ উইকেট। ছয় ম্যাচের লিস্ট 'এ' ক্যারিয়ারে এটি তরুণ ডানহাতি পেসারের সেরা বোলিং নৈপুণ্য।

মঙ্গলবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে ৪৫ রান খরচায় নাহিদ শিকার করেন ৫ উইকেট। সবগুলো উইকেটই নেন প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের ক্যাচ বানিয়ে। ১০ ওভারের কোটা পূরণের পথে তিনি ডট দেন ৪১টি বল। আগের ম্যাচে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে ৫৪ রানে পেয়েছিলেন ৪ উইকেট। ফলে চলতি আসরে স্রেফ দুই ম্যাচ খেলে ৯ উইকেট হয়ে গেল তার নামের পাশে।

লিস্ট 'এ' ক্রিকেটে এটি ২১ বছর বয়সী গতিময় পেসার নাহিদের দ্বিতীয় ৫ উইকেট। সিলেটে গত মার্চে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখা বোলারের আগের সেরা পারফরম্যান্স ছিল উত্তরাঞ্চলের হয়ে পূর্বাঞ্চলের বিপক্ষে। গত বছরের ডিসেম্বরে বিসিএল ওয়ানডে লিগের ফাইনালে তিনি ৫ উইকেট নিয়েছিলেন ৫০ রান খরচায়। তার চমৎকার বোলিংয়ের পর ব্যাটারদের অবদানে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল উত্তরাঞ্চল। তিনি জিতেছিলেন ফাইনালের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার।

ঘাসের ছোঁয়া থাকা উইকেটে এদিন ম্যাচের চতুর্থ ও নিজের দ্বিতীয় ওভারেই উইকেটের উল্লাসে মাতেন নাহিদ। শাইনপুকুরকে এনে দেন প্রথম ব্রেক থ্রু। তার বাড়তি বাউন্স হওয়া অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের বলে আউটসাইড এজ হয়ে উইকেটরক্ষককে ক্যাচ দেন মোহামেডানের ওপেনার রনি তালুকদার। নিজের পরের ওভারে আরেক শিকার ধরেন নাহিদ। ফাইন লেগে ক্যাচ দেওয়া মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন খুলতে পারেননি রানের খাতা।

আক্রমণে ফিরে ইনিংসের মাঝপথে তৃতীয় উইকেটের দেখা পান নাহিদ। ২৫তম ওভারে তাকে ড্রাইভ করার চেষ্টায় কুপোকাত হন আরিফুল ইসলাম। এরপর ইনিংসের শেষভাগে ফের তোপ দাগেন তিনি। ৪৭তম ওভারে ভেঙে দেন আরিফুল হক ও আবু হায়দার রনির সপ্তম উইকেটে গড়া ৭৯ রানের জুটি। শর্ট বলে টাইমিংয়ে গড়বড় করে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ দেন আরিফুল। তার পরের ওভারে ফের শর্ট বলেই আউট হন নাসুম আহমেদ। এতে পূর্ণ হয়ে যায় ৫ উইকেট।

নাহিদের দ্যুতি ছড়ানোর দিনে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নামা মোহামেডান স্কোরবোর্ডে জমা করেছে ৯ উইকেটে ২২৭ রান। আটে নামা আবু হায়দার ৫৫ বলে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় করেন ৫১ রান। সাতে নেমে আরিফুলের ব্যাট থেকে ২ চারে আসে ৫৮ বলে ৩০ রান। তাদের গুরুত্বপূর্ণ জুটির আগে ১২৯ রানে ৬ উইকেট খুইয়ে অল্প রানে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় ছিল সাদা-কালো জার্সিধারীরা।

মোহামেডানের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৬ রানের ইনিংস খেলেন অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। ওপেনিংয়ে নেমে ৭৩ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কা মারেন তিনি। তবে ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হন বাংলাদেশ জাতীয় দলের দুই তারকা। মেহেদী হাসান মিরাজ ৪৮ বলে ২৯ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ২৭ বলে ১৫ রানে সাজঘরে ফেরেন।

Comments

The Daily Star  | English
honor smartphone inside

How to build a smartphone

Smartphones feel inevitable in the hand, yet each one begins as a set of drawings, components and hypotheses. The journey from concept to finished device is a carefully sequenced collaboration between design labs, supplier networks and high-throughput assembly lines. In leading electronics hubs across Asia, that journey can take as little as days once a design is frozen and parts are on site.

3h ago