সেই পুরনো ছকেই জিম্বাবুয়ে বধ, ‘খুব বেশি খুশি না’ শান্ত

Najmul Hossain Shanto

গত বেশ কিছুদিন ধরেই বাংলাদেশ দল বলে আসছিলো তারা ঘরের মাঠেও খেলতে চায় স্পোর্টিং উইকেটে। প্রতিপক্ষ যেই হোক কন্ডিশনের বাড়তি সুবিধা নিতে চায় না। টেস্ট ক্রিকেটে উন্নতি করতে এই প্রক্রিয়াই তারা মনে করছিলেন আদর্শ। ফলের চিন্তা না করে প্রক্রিয়া অনুসরণের নীতিই ছিলো দলের। তবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিলেট টেস্টে হারের ধাক্কায় সেই নীতি আসে বদল। সিরিজ হার এড়াতে বাংলাদেশকে ফিরতে হয় পুরনো ছকে।

সিলেটে ৩ উইকেটে হারের পর  চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়েকে তিন দিনেই উড়িয়ে দিতে পেরেছেন নাজমুল হোসেন শান্তরা। জিতেছেন ইনিংস ও ১০৬ রানে। অধিনায়কের মতে পুরো সিরিজের ফল চিন্তা করলে তারা, 'আসলে খুব বেশি খুশি না।' খুশি না হলেও আপাতত স্বস্তি ফিরেছে বাংলাদেশ দলে। অন্তত নিজেদের প্রাইডটা দেখাতে পেরেছেন, জিম্বাবুয়ের কাছে সিরিজ হারের মতন আরও বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়নি।

সিলেটে হারের পর চট্টগ্রামের উইকেট কেমন হয় এই নিয়ে কৌতূহল ছিলো, যদিও বাংলাদেশ দ্বিতীয় টেস্টের দল ঘোষণার সময়ই একজন স্পিনার বাড়িয়ে আভাস দিয়ে দেয় কেমন হতে চলেছে।

একটি সূত্রের মতে, চট্টগ্রাম টেস্টের উইকেটে স্পিনারদের সুবিধা যতটা সম্ভব রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিলো মাঠকর্মীদের। শুরুতে ভাবনা ছিলো চট্টগ্রামেও উইকেট যতটা সম্ভব স্পোর্টিং রাখার পরিকল্পনা ছিলো। সিলেটে হারের পর সেই ভাবনায় আসে বদল। উইকেটের বাউন্স কমিয়ে রাখার কাজ করা হয়, ঘাস যতটা সম্ভব ছেঁটে করা হয় ন্যাড়া।

ঘরের মাঠের উইকেটের কন্ডিশন নিজেদের পক্ষে কাজে লাগানো দোষের কিছু নয়। তবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও শেষ পর্যন্ত সেই পুরনো তরিকায় হাঁটতে হয়েছে বাংলাদেশকে। তিন স্পিনার নিয়ে খেলে বাংলাদেশ নিজেদের রাখতে চেয়েছে নিরাপদ।

বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে উইকেট শুরুর দিকে ব্যাট করার জন্য ছিলো ভালো, অনুমিতভাবেই সেটা কঠিন হয়েছে ম্যাচ যত এগিয়েছে। তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনেই উড়ছিলো ধুলো, খেলার আয়ু যে আর খুব বেশি নেই তখন পাওয়া যাচ্ছিলো আঁচ।

এমনিতে প্রথম জিম্বাবুয়ের ২০ উইকেটের ১৭টা নিয়েছেন স্পিনাররা। দুইটা রান আউট আর কেবল একটা গেছে পেসারদের কাছে। দ্বিতীয় ইনিংসে যেমন পেসারদের দিয়ে স্রেফ দুই ওভার বল করানোর দরকার হয়েছে। স্পিনে দুর্বল জিম্বাবুয়ে বাংলাদেশের তিন স্পিনারদের সামলাতে গিয়ে এক সেশনে ৮ উইকেট হারিয়ে কাবু হয়েছে।

চট্টগ্রামে জিতে সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করলেও শান্ত জানেন এই জয় নিয়ে আত্মতৃপ্তির চেয়ে বাস্তবতার জমিনে দাঁড়ানোর অবস্থা বেশি। সিরিজ জিততে না পারার খেদটা তাই তিনি আড়াল করেননি, 'না আমি আসলে খুব বেশি খুশি না। দুই ম্যাচের কথা যদি বলেন। এর থেকে ভালো ক্রিকেট খেলা উচিত ছিল। সিরিজটা আমাদের জেতা উচিত ছিল। প্রথম ম্যাচে আমরা ভালো খেলিনি। দ্বিতীয় ম্যাচে আমরা কামব্যাক করেছি।'

Comments

The Daily Star  | English

Just a timely call could have saved Dipu’s life: Police

Police say factory authorities informed them later, factory officials claim they had no negligence

7h ago