ওয়ানডেতে মিরপুরে ৬ উইকেট নেওয়া রিশাদসহ ৬ বোলার

তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সাদামাটা পুঁজি নিয়েও বাংলাদেশের বড় জয়ে রিশাদ হোসেন ছিলেন অগ্রণী ভূমিকায়। গত শনিবার ক্যারিয়ারসেরা পারফরম্যান্সে এই লেগ স্পিনার শিকার করেন ৩৫ রানে ৬ উইকেট। কালো মাটির বোলিং সহায়ক পিচে তার ঘূর্ণিতে এলোমেলো হওয়া ক্যারিবিয়ানরা ১৩৩ রানে অলআউট হয়ে হারে ৭৪ রানের ব্যবধানে।
মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ওয়ানডেতে রিশাদসহ মোট ছয়জন পেয়েছেন ৬ উইকেট নেওয়ার স্বাদ। এদের মধ্যে তিনজন বাংলাদেশি, বাকি তিনজন বিদেশি ক্রিকেটার।
প্রথম বোলার হিসেবে মিরপুরে ওয়ানডেতে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন ডানহাতি পেসার রুবেল হোসেন। ২০১৩ সালের অক্টোবরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২৬ রান খরচায় ৬ উইকেট শিকার করেছিলেন। কোরি অ্যান্ডরসন, ব্রেন্ডন ম্যাকক্যালাম ও জিমি নিশামকে টানা তিন বলে আউট করে হ্যাটট্রিকের স্বাদও পেয়েছিলেন তিনি। তার নৈপুণ্যে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে কিউইদের ৪৩ রানে হারিয়েছিল বাংলাদেশ।
এরপর এই মাঠে ২০১৪ সালের জুনে ভারতের পেস বোলিং অলরাউন্ডার স্টুয়ার্ট বিনি মাত্র ৪ রানের বিনিময়ে নেন ৬ উইকেট। সেদিন বৃষ্টির কারণে ৪১ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে খর্বশক্তির ভারতকে ১০৫ রানে থামিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ভয়াবহ ব্যাটিং ব্যর্থতায় স্রেফ ৫৮ রানে গুটিয়ে গিয়ে হেরেছিল তারা।
২০১৫ সালে অল্প সময়ের মধ্যে দুবার ৬ উইকেট নেওয়ার নজির দেখা গিয়েছিল শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে হওয়া ওয়ানডেতে। জুনে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়ে বাঁহাতি পেসার মোস্তাফিজুর রহমান ৬ উইকেট পেয়েছিলেন ৪৩ রানে, জুলাইতে দক্ষিণ আফ্রিকার ডানহাতি পেসার কাগিসো রাবাদা বাংলাদেশকে হারানোর পথে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন ১৬ রানে।
রিশাদের আগে শেষবার মিরপুরে ৬ উইকেট শিকার করতে দেখা গিয়েছিল লেগ স্পিনার ইশ সোধিকে। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ৩৯ রান খরচায় ৬ উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। সেদিন বাংলাদেশের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ড জিতেছিল ৮৬ রানে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেদিনকার অসাধারণ বোলিংয়ে দুটি রেকর্ডের মালিকও হন রিশাদ। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের প্রথম ডানহাতি স্পিনার হিসেবে নেন ৫ বা এর চেয়ে বেশি উইকেট। আগের সেরা ছিল রাজিন সালেহর। তিনি হারারেতে ২০০৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৪ উইকেট পেয়েছিলেন ১৬ রানে।
শুধু তাই নয়, ওয়ানডেতে বাংলাদেশের স্পিনারদের মধ্যে কোনো ম্যাচে সেরা বোলিংয়ের কীর্তি গড়েন রিশাদ। আর কোনো ঘূর্ণি বোলারের নামের পাশে নেই ৬ উইকেট। আগের সেরা ছিল বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামের। তিনি ২০২২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রভিডেন্সে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন ২৮ রানে।
Comments